ঢাকা মিরপুর

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৮:৫৯ এএম

ঢাকা মিরপুর: ঐতিহ্য, ভূগোল ও বর্তমান

মিরপুর, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা, যা ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। মোগল আমলে 'মীর' উপাধিধারী কোনো অভিজাত ব্যক্তির ভূসম্পত্তির নামানুসারে এর নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। প্রায় ৫৮.৬৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই থানাটিতে প্রায় ১,০৭৪,২৩২ জন মানুষ বসবাস করেন।

মিরপুরের ভৌগোলিক অবস্থান: উত্তরে শাহ আলী ও পল্লবী থানা, দক্ষিণে শেরে বাংলা নগর ও দার-উস-সালাম থানা, পূর্বে কাফরুল থানা এবং পশ্চিমে শাহ আলী, দার-উস-সালাম থানা ও সাভার উপজেলা। এটি প্লাইস্টোসিন যুগের উঁচু ভূমি এবং সমতল ভূমির সমন্বয়ে গঠিত। মিরপুর চিড়িয়াখানা এলাকা ও সেনপাড়া পর্বতা প্লাইস্টোসিন যুগের উঁচু ভূমির ধারা বহন করে।

ঐতিহাসিক দিক: মিরপুরের নামের সঙ্গে যুক্ত 'মীর' উপাধিটি সুলতানী ও মোগল আমলে প্রশাসনিক পদবী হিসেবে ব্যবহৃত হত। কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, সেনপাড়া পর্বতা, শিয়ালবাড়ী ইত্যাদি স্থানের নামকরণের ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকেই এ এলাকায় মানুষের বসতির প্রমাণ দেয়। গাবতলীর কোটবাড়ি, দিয়াবাড়ি, দরিয়াঘাট, পাইকপাড়া প্রভৃতি নামগুলি সম্ভবত সুলতানী পূর্বযুগের। 'কোটবাড়ি' নামটি প্রাচীন দুর্গের নির্দেশক হতে পারে। ১৯৭২ সালের ৩১শে জানুয়ারি মিরপুর পাকিস্তানি শাসন থেকে মুক্ত হয় এবং এটি ‘মিরপুর মুক্ত দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।

উল্লেখযোগ্য স্থাপনা: মিরপুরে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য স্থাপনাগুলির মধ্যে রয়েছে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ।

জনসংখ্যা ও অর্থনীতি: মিরপুরের জনসংখ্যা বহু বছর ধরে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মিরপুর ঢাকা মহানগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বিভিন্ন এলাকা: মিরপুর ১ থেকে ১৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সেক্টরে বিভক্ত। প্রতিটি সেক্টরে আছে আলাদা আলাদা ঐতিহাসিক, সামাজিক এবং ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য। এই এলাকাগুলি অন্তর্ভুক্ত করেছে: কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, সেনপাড়া, পল্লবী ইত্যাদি।

আধুনিক মিরপুর: মিরপুর বর্তমানে ঢাকার একটি আধুনিক ও উন্নয়নশীল এলাকা। এখানে আধুনিক বাসস্থান, শপিং মল, বিনোদন কেন্দ্র এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। মেট্রোরেলের চালু হওয়া মিরপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মিরপুর ঢাকার একটি ঐতিহাসিক থানা
  • মোগল আমলের অভিজাত ব্যক্তির নামানুসারে নামকরণ
  • প্রায় ১০ লাখের বেশি জনসংখ্যা
  • শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম ও জাতীয় চিড়িয়াখানা অবস্থিত
  • প্লাইস্টোসিন যুগের ভূমি কাঠামো
  • ১৯৭২ সালে পাকিস্তানি শাসন থেকে মুক্তি

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ঢাকা মিরপুর

১ ডিসেম্বর ২০২৫

এই স্থানে জান্নাত আরা হেনরীর একটি ফ্ল্যাট আছে।