ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজ মাঠ: শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কেন্দ্রবিন্দু
বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজের মাঠ, মূলত কলেজের অঙ্গীভূত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। মিরপুর-১৪, ঢাকায় অবস্থিত এই কলেজ প্রায় ১৮ একর জমির উপর বিস্তৃত এবং এর মাঠটি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলার আয়োজনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ২০০০ সালের ১৬ নভেম্বর মিরপুর ১৪ নম্বর সেক্টরে কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
১৯৮০ এর দশকের শেষভাগে পুলিশ কমিশনের সুপারিশ অনুসারে সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে সরকারের অনুমোদন লাভের পর কলেজটি কার্যকর হয়। কলেজের মাঠটি শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য নয়, বিভিন্ন উদযাপন ও অনুষ্ঠানের জন্যও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
প্রশিক্ষণ ও গবেষণা:
পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, সমসাময়িক ঘটনা ও তথ্যাদির উপর জ্ঞান বৃদ্ধি এবং গবেষণা কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত। এর মাঠ প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কলেজের লাইব্রেরি, জার্নাল ও গবেষণা প্রতিবেদন অধ্যয়নরতদের জন্য উপলব্ধ। কলেজটি পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি এবং মাস্টার্স অব অ্যাপ্লায়েড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট সহ বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা করে।
প্রশাসন:
একজন এডি: ইন্সপেক্টর জেনারেল পদের কর্মকর্তা পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একজন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) সহ অন্যান্য অতিরিক্ত আইজিপিগণ, পুলিশ স্টাফ কলেজের ফ্যাকাল্টিগণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ মিলে কলেজ পরিচালনা করে থাকেন।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব:
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ, এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা কলেজের সাথে সম্পৃক্ত। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম, রেক্টর, পুলিশ স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য।
উপসংহার:
ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজের মাঠ কেবলমাত্র একটি খেলাধুলার স্থান নয়, বরং এটি বাংলাদেশ পুলিশের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা পালন করে।