ডিবিএ

ডিবিএ'র ভূমিকা এবং পুঁজিবাজারের চ্যালেঞ্জ

গত ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর আইডিইবি ভবনে অনুষ্ঠিত ‘স্ট্রেটেনিং গভর্নেন্স ফ্রেমওয়ার্ক ওয়ে ফরওয়ার্ড টু এ ভাইরেন্ট ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক সেমিনারে ডিবিএ'র (যদিও লেখায় ডিবিএ-র সম্পূর্ণ নাম উল্লেখ নেই, তবে প্রেক্ষাপট থেকে বোঝা যায় এটি সম্ভবত বাংলাদেশের কোন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সংগঠন) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। সেমিনারে ডিবিএ'র সভাপতি সাইফুল ইসলাম কি-নোট প্রেজেন্টার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে গভর্নেন্স ব্যর্থতাকে চিহ্নিত করেন এবং এশিয়ার ১১ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ দুইটি দেশের মধ্যে অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আইপিও সাপ্লাই বাড়ানোর, বিএসইসির টু সিসি পদ্ধতি বাতিলের, ক্যাপিটাল লসের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নিয়ম তৈরির, গভর্নেন্স ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার এবং বিদেশি ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উপর জোর দেন। তিনি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য উচ্চমানের আইপিও আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

ডিবিএ'র সভাপতি ছাড়াও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ পুঁজিবাজারের বিভিন্ন সমস্যা, সুশাসন, স্বচ্ছতা, আইপিও'র মান, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থ সংগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। সেমিনারে অর্থনৈতিক অবস্থা, দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ও উঠে আসে। ডিবিএ’র পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার সংস্কারে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তা, নেগেটিভ ইক্যুইটির সমাধান, সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বাজারে তালিকাভুক্তকরণ এবং করনীতিতে পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়। ডিবিএ এবং ডিএসই সরকারের সাথে পুঁজিবাজার উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ডিবিএ'র সভাপতি সাইফুল ইসলাম পুঁজিবাজারের গভর্নেন্স ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
  • ডিবিএ উচ্চমানের আইপিও এবং স্বচ্ছতার উপর জোর দিয়েছে।
  • ডিবিএ সরকারের সাথে পুঁজিবাজার উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
  • পুঁজিবাজার সংস্কারে বিভিন্ন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে - ডিবিএ

এই সংগঠনের প্রতিনিধি দল অর্থ উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাত করেছে।