ড. মাহমুদুল হাসান নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই লেখাটিতে দুইজন ড. মাহমুদুল হাসান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হলো।
প্রথম ড. মাহমুদুল হাসান:
একজন বাংলাদেশী দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, লেখক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ৫ জুলাই ১৯৫০ সালে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার চরখরিচা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গালিমুদ্দিন আহমদ এবং মাতা ফাতেমা রমজানী। তিনি কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইআতুল উলয়া এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ার মহাপরিচালক, গুলশান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব, মাসিক আল জামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমীর। তিনি তাফসীরে বুরহানুল কুরআন নামে একটি তাফসীর গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরী, ইদ্রিস মিরাঠী, ওয়ালি হাসান টঙ্কি প্রমুখ। তিনি আরবি, বাংলা ও উর্দুতে শতাধিক কিতাব রচনা করেছেন এবং ১৯৮৩ সালে মাসিক আল জামিয়া নামে একটি সাময়িকী চালু করেন। ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় ড. মাহমুদুল হাসান:
একজন বাংলাদেশী ঐতিহাসিক, লেখক এবং শিক্ষাবিদ। তিনি দি পিপল্স ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে “আরব জাতির ইতিহাস” উল্লেখযোগ্য। এই গ্রন্থটি স্যার সৈয়দ আমীর আলী, ডাবলু মন্টোগোমারী ওয়ার্ট এবং পি. কে. হিট্টির গ্রন্থের উপর ভিত্তি করে রচিত।
উভয় ড. মাহমুদুল হাসানের জীবনী, কর্মজীবন ও অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে, লেখাটিতে উল্লেখিত তথ্যগুলি যথেষ্ট না হলে, পরবর্তীতে আরও তথ্য পাওয়ার পর আপনাদের অবহিত করা হবে।