টেলিমেডিসিন

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

টেলিমেডিসিন: দূর থেকে স্বাস্থ্যসেবা

টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব অগ্রগতির ফলে আজকের বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে – টেলিমেডিসিন। এটি মূলত দূর থেকে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের একটি পদ্ধতি। মোবাইল ফোন, ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসকরা রোগীদের সাথে যোগাযোগ করে, তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসা প্রদান করে।

বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন:

বাংলাদেশে টেলিমেডিসিনের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন স্তরে ১৮ টি হাসপাতালে উন্নতমানের টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে। এছাড়াও, ২২ টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রেও এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। স্কাইপ-এর মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করে চিকিৎসকরা কর্মদিবসগুলোতে বিনামূল্যে এই সেবা প্রদান করছেন। বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল অপারেটররাও টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে।

সেবার ধরন:

টেলিমেডিসিন সেবা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে ফোনে পরামর্শ নেওয়া যায়। কিন্তু জটিল রোগের ক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে চিকিৎসকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে পরামর্শ নেওয়া উত্তম।

উপকারিতা:

টেলিমেডিসিনের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সীমিত, সেখানকার মানুষের জন্য টেলিমেডিসিন এক বরদান। এছাড়াও, ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়া এবং সময় বাঁচানো টেলিমেডিসিনের অন্যান্য সুবিধা।

পরিশেষে:

টেলিমেডিসিন আধুনিক বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে এর ব্যবহার আরও ব্যাপক করার মাধ্যমে দেশের সকল নাগরিকের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশে ১৮টি হাসপাতালে উন্নতমানের টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে।
  • ২২টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হচ্ছে।
  • স্কাইপ ব্যবহার করে বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
  • প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ টেলিমেডিসিনের সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে।
  • টেলিমেডিসিন ব্যয় সাশ্রয়ী এবং সময় বাঁচায়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।