টংগিবাড়ী উপজেলা মুন্সিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৯৮৩ সালে টংগিবাড়ী থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। এটি ১৪০.৯১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের উপজেলা, যেখানে প্রায় ২০০,০০০ জনের বেশি মানুষ বাস করে। উপজেলার উত্তরে নারায়ণগঞ্জ জেলার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা, দক্ষিণে পদ্মা নদী এবং শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলা, পূর্বে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে লৌহজং ও সিরাজদিখান উপজেলা অবস্থিত।
টংগিবাড়ী উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। ধান, পাট, আলু, পান, করলা, টমেটো ইত্যাদি প্রধান কৃষি ফসল। এছাড়াও, মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে। কুটিরশিল্পের মধ্যে স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, তাঁত শিল্প, পাটি শিল্প, বাঁশ, বেত ও কাঠের কাজ উল্লেখযোগ্য। উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন রয়েছে, এবং বেশ কিছু হাট-বাজার ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ঐতিহাসিক দিক থেকে টংগিবাড়ী উপজেলা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নে পাকসেনারা গণহত্যা করেছিল। এছাড়াও, উপজেলায় কয়েকটি প্রাচীন মন্দির ও মসজিদ রয়েছে। সোনারং জোড়ামন্দির, কালীবাড়ি এবং কষ্টি পাথরের মূর্তি (বর্তমানে জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত) উল্লেখযোগ্য।
শিক্ষার দিক থেকে, উপজেলায় বেশ কিছু প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। স্বর্ণগ্রাম আর এন উচ্চ বিদ্যালয়, আব্দুল্লাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, সোনারং পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, আউটশাহী রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয়, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
স্বাস্থ্যসেবার জন্য উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিক রয়েছে। ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, প্রশিকা এর মতো বিভিন্ন এনজিও এখানে কাজ করে।
টংগিবাড়ী উপজেলার সম্পূর্ণ ইতিহাস ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। আমরা ভবিষ্যতে আরও তথ্য যুক্ত করে এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ করব।