সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সাথে সীমান্তভাগ করে। এই সীমান্ত এলাকা বেশ জটিল ও সংবেদনশীল। এখানে বহু বছর ধরে চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ, এবং সীমান্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। জৈন্তাপুর সীমান্তের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:
ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা: জৈন্তাপুর উপজেলা সিলেটের উত্তরাংশে অবস্থিত। এটি পাহাড়ি ও হাওর অঞ্চলের মিশ্রণ। জনসংখ্যার একটা অংশ খাসিয়া আদিবাসী।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ঐতিহাসিকদের ধারণা, অতীতে জৈন্তাপুর একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। পরবর্তীতে এটি কামরূপ, চন্দ্র ও বর্মণ বংশের অধীনে ছিল।
অর্থনীতি: জৈন্তাপুরের অর্থনীতি প্রধানত কৃষি ও চা বাগানের উপর নির্ভরশীল। তবে চোরাচালানও এখানকার অর্থনীতিতে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সীমান্ত নিরাপত্তা: বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এই সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। তবে সীমান্ত নিরাপত্তা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ: জৈন্তাপুর সীমান্তে অনেক সমস্যা বিরাজমান। যেমন- চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ, সীমান্ত সংঘর্ষ, আদিবাসীদের সাথে সংঘর্ষ ইত্যাদি।
সাম্প্রতিক ঘটনা: সম্প্রতি ১৩ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ আটক করেছে। তারা চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অন্য আরেকটি ঘটনায় খাসিয়া আদিবাসীদের ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে।
সমাধান: জৈন্তাপুর সীমান্তের সমস্যা সমাধানের জন্য দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও আলোচনার প্রয়োজন। সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন এবং আইন প্রয়োগে জোর দেওয়া প্রয়োজন।