জিয়াউল হক: একাধিক ব্যক্তি ও ঘটনার প্রেক্ষাপটে
এই নামটি একাধিক ব্যক্তি ও ঘটনার সাথে সম্পর্কিত, যার ফলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। এই নিবন্ধে আমরা দুইটি বিশিষ্ট জিয়াউল হক সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করব:
১. সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক (সেনা কর্মকর্তা):
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক একজন বাংলাদেশী সাবেক সেনা কর্মকর্তা, যিনি ২০১১ সালের বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। তাকে আল-কায়েদার সহযোগী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছিল কিছু সংবাদমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা। তবে, এসব অভিযোগের কোন প্রমাণ আদালতে প্রমাণিত হয়নি। তিনি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার মোস্তফাপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৪১ তম দীর্ঘ কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তাকে বুদ্ধিমান ও আইটি দক্ষ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি পলাতক ছিলেন এবং বাংলাদেশ সরকার তার উপর ৪০ মিলিয়ন টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
২. সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (সুফি সাধক):
সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (১৯২৮-১৯৮৮) ছিলেন মাইজভাণ্ডারী তরিকার একজন সুফি সাধক। তাকে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী কাদ্দাছা ছিরহুল আজিজ নামেও ডাকা হত। চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার মাইজভাণ্ডারে জন্মগ্রহণকারী এ সুফি সাধকের রহস্যময় ও আধ্যাত্মিক জীবন ছিল। তিনি বিভিন্ন আধ্যাত্মিক অনুশীলন, ভ্রমণ এবং কারামতের জন্য পরিচিত ছিলেন। তার পুত্র বর্তমানে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির সভাপতি ও শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও জিয়াবুল হক নামে অন্যান্য ব্যক্তিও থাকতে পারেন, যাদের সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য এখনও উপলব্ধ নয়। আমরা ভবিষ্যতে আরও তথ্য সংগ্রহ করে এই নিবন্ধটি আপডেট করব।