গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দিনমজুর জামাল মিয়া, চার সন্তানের জনক, সম্প্রতি দুঃখের মধ্য দিয়ে গেছেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গত ৮ নভেম্বর রাতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে এবং পরে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করে। ৯ নভেম্বর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তার স্ত্রী সাথী বেগম যমজ সন্তান প্রসবের এক সপ্তাহ পর ১২ অক্টোবর মারা যান। জামাল মিয়ার বয়স, জাতি, ধর্ম ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি দাবি করেন যে তিনি কোন রাজনীতি করেন না এবং কেন তাকে গ্রেফতার করা হলো তা তিনি জানেন না। তবে পুলিশ সূত্র অনুসারে, তিনি ঢাকার তেজগাঁও থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। জামাল মিয়ার গ্রেফতারের পর তার চার সন্তান (সাজ্জাদ মিয়া (১৩), আফসানা আক্তার (৬) এবং এক মাস বয়সী যমজ দুই কন্যা) এবং বৃদ্ধ মা অসহায় হয়ে পড়েন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর, হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে শিশুদের দেখভালের জন্য গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়কে নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জামিনের আবেদন করা হয় এবং বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ মামুন জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর জামাল মিয়া তার পরিবারের সাথে পুনর্মিলিত হন। কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসন তাদের নগদ টাকা, শিশুখাদ্য, কাপড়, শিক্ষা উপকরণ, খেলনা সামগ্রী প্রদান করে। জামাল মিয়ার ভাই মনির মিয়া দাবি করেন, তার ভাই বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নন, তবে একসময় আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জামাল মিয়া
আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দিনমজুর জামাল মিয়ার গ্রেফতার
- শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহ
- স্ত্রীর মৃত্যু এবং চার সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্ব
- বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ
- জামিনে মুক্তি
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - জামাল মিয়া
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনি নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন।