জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: একটি বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৪১ সালে সৈয়দ আবুল আ'লা মওদুদীর নেতৃত্বে লাহোরে প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী, পাকিস্তান বিভাগের পর পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে দুটি পৃথক সংগঠন হিসেবে কাজ করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে, এবং এর ফলে অনেক নেতাকর্মী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

১৯৭১ সালের পর জামায়াত দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ ছিল, পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে রাজনীতিতে ফিরে আসে। এরপর থেকে দলটি বিভিন্ন জোটে যোগ দিয়ে রাজনৈতিতে অংশগ্রহণ করেছে। তবে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ, এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার, জামায়াতের উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করেছে। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে, যদিও পরে আবার পুনরায় রাজনীতিতে ফিরে আসে।

জামায়াতে ইসলামীর মূল লক্ষ্য হলো একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যেখানে শরীয়াহ আইন প্রযোজ্য হবে। তবে ২০১২ সালে দলটি তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির উল্লেখ সংযোজন করে। জামায়াতে ইসলামী বিতর্কিত ও মতবিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে , তবুও বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত থাকে।

মূল তথ্যাবলী:

  • জামায়াতে ইসলামী ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
  • ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
  • যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অনেক নেতা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
  • ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হলেও পরে রাজনীতিতে ফিরে আসে।
  • একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই এর মূল লক্ষ্য।