জনসংখ্যা সংকট

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

জনসংখ্যা সংকট: একটি বহুমুখী সমস্যা

বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ১৭০০ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৬০০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়নে পৌঁছায়। কিন্তু তার পরের ২০০ বছরে এই সংখ্যা ৫ বিলিয়ন পেরিয়ে যায়। এই দ্রুত বৃদ্ধি অনেকের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল, এবং ১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের সাবেক চেয়ারম্যান মারিনার এস. একলস (Marriner S. Eccles) এটিকে বিশ্বের সামনে দাঁড়ানো সবচেয়ে জরুরি সমস্যা বলে উল্লেখ করেছিলেন।

কিন্তু আজকের দিনে, বাস্তবতা অন্যরকম। অনেকেই মনে করছেন যে, আমাদের পৃথিবীর সামনে সবচেয়ে বড় হুমকি আসলে জনসংখ্যার আধিক্য নয়, বরং জনসংখ্যার স্বল্পতা। গত কয়েক দশক ধরে, বিশ্বের অনেক দেশেই জন্মহার ক্রমশ কমছে, এবং এই হ্রাসের প্রভাব বেশ গভীর। রাশিয়া, চীন এবং জাপানের মতো দেশগুলোতে এই জনসংখ্যাগত সংকট প্রকট। কেবলমাত্র এই দেশগুলোই নয়, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও একই প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ বহুমুখী। শহুরে জীবনযাত্রা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, পরিবার পরিকল্পনা, এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি—এইসব কারণ মিলে জন্মহার কমেছে। তবে, কিছু দেশে, যেমন আফ্রিকার অনেক দেশে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখনও উচ্চ।

এই লেখায়, আমরা জনসংখ্যা হ্রাসের কারণগুলো, এর সম্ভাব্য প্রভাব এবং এর সমাধানের কী কী উপায় রয়েছে সে বিষয়গুলি আলোচনা করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৭০০-১৮০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৬০০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়নে পৌঁছেছিল।
  • পরবর্তী ২০০ বছরে জনসংখ্যা ৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।
  • অনেক দেশে জন্মহার কমে যাচ্ছে এবং জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হচ্ছে।
  • রাশিয়া, চীন এবং জাপান জনসংখ্যাগত সংকটের মুখোমুখি।
  • জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ শহুরে জীবনযাত্রা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান, পরিবার পরিকল্পনা, এবং জীবনযাত্রার ব্যয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - জনসংখ্যা সংকট

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

জাপানের জনসংখ্যাগত সংকটের দিকে ইঙ্গিত করেছে প্রতিবেদন।

দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধি এবং জন্মহার কমে যাওয়ার ফলে দেশটি জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি।