জকিগঞ্জ থানা: একটি বিস্তারিত আলোচনা
জকিগঞ্জ থানা বাংলাদেশের সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ইউনিট। ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের পর, করিমগঞ্জ থানার অংশবিশেষ নিয়ে এই থানার সূচনা হয়, যা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত ছিল। জকিগঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ৯টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম জকিগঞ্জ থানার আওতাধীন।
জকিগঞ্জ উপজেলার উত্পত্তি সম্পর্কে একটি প্রচলিত কাহিনী রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর তীরে অবস্থিত হযরত শাহ জাকি (রহঃ)-এর মাযারকে কেন্দ্র করে একটি সাপ্তাহিক বাজার বসত, যা পরবর্তীকালে 'জাকিগঞ্জ' নামে পরিচিতি লাভ করে এবং একই নামে এলাকার নামকরণ হয়।
জকিগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন দিক থেকে সমৃদ্ধ। এর আয়তন প্রায় ২৬৭ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ২,৪২,৫৬১ জন। উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য; এর মধ্যে রয়েছে ৭টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ (১টি সরকারি, ৬টি বেসরকারি), ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবং ১০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৮%।
উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। কৃষি ছাড়াও অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে অকৃষি শ্রমিক, শিল্প, ব্যবসা, পরিবহন, চাকরি ইত্যাদি। বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ সীমিত, তবে সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। পানীয়জলের উৎসের মধ্যে নলকূপ, ট্যাপ, পুকুর উল্লেখযোগ্য। স্বাস্থ্য সেবার জন্য উপজেলায় রয়েছে ৪টি হাসপাতাল, ১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, এবং ১০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।
জকিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আটগ্রাম যুদ্ধ এবং জকিগঞ্জ থানা যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এছাড়াও, উপজেলায় গণকবর এবং স্মৃতিফলক রয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণ করে রেখেছে।
আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরও তথ্য সংযুক্ত করে এই নিবন্ধটিকে আরও সমৃদ্ধ করা যাবে।