চররমনী মোহন: লক্ষ্মীপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন
লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত চররমনী মোহন একটি ঐতিহ্যবাহী ও বৃহৎ ইউনিয়ন। ৬৮.৪৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত এবং প্রাচীন ইতিহাস, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ও ঐতিহ্য ধারণ করে আজও গর্বের সাথে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমান্ত:
চররমনী মোহন ইউনিয়নটি ৬টি গ্রাম নিয়ে গঠিত: চর আলী হাসান, মধ্য চররমনীমোহন, চর রমনী মোহন, উত্তর চররমনীমোহন, পূর্ব চর রমনী মোহন, এবং চর মেঘা। ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত এই ইউনিয়নের দক্ষিণে কমলনগর উপজেলার চর মাটিন ও চর কালকিনি ইউনিয়ন, উত্তরে শাকচর ইউনিয়ন এবং রায়পুর উপজেলার ৮নং দক্ষিণ চর বংশী ইউনিয়ন, উত্তর-পূর্বে চর রুহিতা ইউনিয়ন, পশ্চিমে ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়ন এবং পূর্বে টুমচর ইউনিয়ন অবস্থিত।
জনসংখ্যা ও অর্থনীতি:
প্রায় ৪২৪৮২ জন লোকের বাস এই ইউনিয়নে, যেখানে পুরুষ ২২৩৫৫ জন এবং মহিলা ২০১২৮ জন। অধিকাংশ লোক মৎস্যজীবী ও কৃষিকাজের সাথে জড়িত। চাকুরীজীবী, প্রবাসী, ও ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন। ইউনিয়নের শিক্ষার হার ১৫%, জন্ম নিবন্ধন ২০%, এবং স্যানিটেশন ৬০%।
শিক্ষা ও অবকাঠামো:
চররমনী মোহন ইউনিয়নে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা, ১টি কিন্ডারগার্টেন ও ক্যাডেট মাদ্রাসা, ৫টি নুরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ৫২টি মসজিদ, ১৫টি ঈদগাহ, এবং ২টি মাজার রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১টি ডিজিটাল সেন্টার, ৩টি হাট-বাজার, এবং ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংকিং), ATM বুথ, এবং বিভিন্ন বীমা সংস্থার অফিসও এখানে অবস্থিত।
আলমগীর হোসেন:
প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, আলমগীর হোসেন নামক এক ব্যক্তির সাথে চররমনী মোহনের নাম জড়িত। তিনি জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাবেক সভাপতি, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও চররমনী মোহন ইউপি'র সাবেক সদস্য ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল, ঘাট দখল, চাঁদাবাজি, হামলা ও অন্যান্য অভিযোগ রয়েছে। তবে, এই তথ্যগুলির সত্যতা যাচাই করার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন।
চর মেঘার কৃষিকাজ:
চররমনী মোহনের অধীনে চর মেঘা নামক একটি চর রয়েছে যেখানে কৃষকরা বিভিন্ন সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তবে, দুর্গম চর থেকে পরিবহন এবং বাজারজাতকরণের সমস্যা রয়েছে। এই কৃষিকাজের সাথে জড়িত আরো তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আপডেট করব।
সুপেয় পানির অভাব:
চররমনী মোহনের কিছু দুর্গম চরে সুপেয় পানির অভাব রয়েছে। স্থানীয়রা নদীর লোনা পানি ফিটকিরি দিয়ে শোধন করে পান করতে বাধ্য। গভীর নলকূপের সংখ্যা অত্যন্ত কম।
উল্লেখ্য: এই নিবন্ধটি প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।