চকরাজাপুর

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ এএম

চকরাজাপুর: পদ্মার তীরে অবস্থিত একটি গ্রামীণ ইউনিয়ন

রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার সর্বদক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত চকরাজাপুর ইউনিয়ন, একটি নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত। ২০১৬ সালের পূর্বে এটি গড়গড়ি ইউনিয়নের অংশ ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে স্বতন্ত্র ইউনিয়নের মর্যাদা পায়। পদ্মা নদীর ক্রমাগত ভাঙ্গনের ফলে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ জটিল। শুষ্ক মৌসুমে বালুময় পথে মোটরসাইকেল চলাচলের উপযোগী, আর বর্ষায় নৌকা ভ্রমণই একমাত্র মাধ্যম।

চকরাজাপুর কৃষিপ্রধান এলাকা। উর্বর পলিমাটিতে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হয়। তবে পদ্মার ভাঙন এ অঞ্চলের প্রধান সমস্যা। এখানে প্রায় ১৫৫৫১ জন লোক বাস করে, যাদের অধিকাংশই কৃষিকাজের সাথে জড়িত। ইউনিয়নটির আয়তন প্রায় ৪৬ বর্গকিলোমিটার।

ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাজন:

  • উত্তরে: ২ নং গড়গড়ি ইউনিয়ন
  • পূর্বে: নাটোর জেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন
  • দক্ষিণে: কুষ্টিয়া জেলার চিলমারী ইউনিয়ন
  • পশ্চিমে: পাকুড়িয়া ইউনিয়ন

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য:

চকরাজাপুরে দুটি উচ্চ বিদ্যালয় এবং দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সীমিত। পদ্মার ভাঙ্গনের কারণে অনেক স্কুল এবং অবকাঠামো নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

অর্থনীতি:

কৃষিই চকরাজাপুরের মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি। পদ্মার ভাঙ্গন এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

পদ্মা ভাঙ্গন ও চ্যালেঞ্জ:

চকরাজাপুরের প্রধান সমস্যা হলো পদ্মা নদীর ভাঙ্গন। নদীর ক্রমাগত ভাঙন ঘরবাড়ি, ফসল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আরও অনেক কিছু ধ্বংস করছে। এই ভাঙ্গন এলাকার মানুষের জীবনে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

পদ্মা ভাঙ্গন রোধ এবং চকরাজাপুরের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এজন্য নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের উপযোগী কার্যকরী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অবস্থিত পদ্মা নদীতীরবর্তী একটি ইউনিয়ন হল চকরাজাপুর।
  • ২০১৬ সালে স্বতন্ত্র ইউনিয়নের মর্যাদা লাভ করে।
  • পদ্মার ভাঙ্গন এ অঞ্চলের প্রধান সমস্যা।
  • কৃষিপ্রধান অঞ্চল, উর্বর পলিমাটিতে বিভিন্ন ফসলের চাষ।
  • জনসংখ্যা প্রায় ১৫৫৫১ জন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - চকরাজাপুর

চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিচে পদ্মা নদীতে মাছটি ধরা পড়ে।