ঘূর্ণিঝড় চিডো

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

মোজাম্বিকে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় চিডোর তাণ্ডবে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৯৪ জনে পৌঁছেছে। হাজার হাজার বাড়িঘর ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফরাসি দ্বীপপুঞ্জ মায়োতেও ঝড়টির আঘাতে ৩৫ জনের বেশি মানুষ নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে। মোজাম্বিকে ১১ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। কাবো ডেলগাডো প্রদেশে ঘণ্টায় প্রায় ২৬০ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাস নিয়ে ঝড়টি তাণ্ডব চালায় এবং ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতায় বিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে ঝড়ের তাণ্ডব নতুন করে বিপর্যয় তৈরি করেছে। ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু সংকটের কারণে ঝড়ের প্রভাব তীব্র হয়েছে। ঝড়ের কেন্দ্র ছিল কাবো ডেলগাডো অঞ্চল। ইউনিসেফের ছবিতে দেখা যায়, মেকুফি জেলার একটি মসজিদের ছাদ উড়ে গেছে। দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ফ্রেলিমোর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ড্যানিয়েল চ্যাপো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। গত অক্টোবরের নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি জয় পেয়েছেন বলে বিরোধী দলগুলো নিন্দা করেছে এবং নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনে চ্যাপোর জয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৩০ জন নিহত হয়েছেন। ঝড়ে বিধ্বস্ত অঞ্চলের মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য দেশের নাগরিকদের খাদ্য ও পোশাক দান করার আহ্বান জানিয়েছেন চ্যাপো। বিরোধীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ ঘিরে রাজনৈতিক সহিংসতার মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত দেশটিতে ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ঘূর্ণিঝড় চিডোতে ৯৪ জনের মৃত্যু
  • মোজাম্বিকে ১১ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস
  • মায়োতেও ৩৫ জনের অধিক মৃত্যু
  • কাবো ডেলগাডোতে ঝড়ের তীব্র আঘাত
  • মানব সৃষ্ট জলবায়ু সংকটের প্রভাব

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ঘূর্ণিঝড় চিডো

২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোর আঘাতে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় চিডো মোজাম্বিকে আঘাত হানে।

১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় চিডো মোজাম্বিকে আঘাত হানে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করে।