গোলাম রাফি নামটি একাধিক ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, দুইজন গোলাম রাফির কথা উঠে এসেছে। একজন ৩৪ বছর বয়সী একজন জেলে, অন্যজন কুমিল্লায় হত্যার শিকার হওয়া এক যুবক।
প্রথম গোলাম রাফি: পটুয়াখালী জেলার আব্দুল মানিকের ছেলে গোলাম রাফি (৩৪) সাগরে মাছ ধরার সময় ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে আটক হয়েছিলেন। ৯ মাস ভারতের আলীপুর জেলে কাটানোর পর বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর তাকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি তার আইনি সহায়তা করেছিল। তার সাথে আরও ৫ জন পুরুষ ও ১ জন নারী জেলে একই অভিযোগে আটক হয়েছিলেন এবং একই সময়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন।
দ্বিতীয় গোলাম রাফি: কুমিল্লার নূরপুর চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা গোলাম রাফি সরওয়ার (৩৫) ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারী রাতে তার নিজ বাসায় গলাকেটে হত্যা করা হয়। তিনি মোবাইল ফোন রিচার্জের ব্যবসা করতেন। পুলিশ হত্যার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সময় তার মা সৈয়দা আক্তার কুমিল্লার কাজিপাড়ায় তার মেয়ের বাসায় বেড়াতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। আনুমানিক ৮ মাস আগে তার স্ত্রীর সাথে তার ডিভোর্স হয়েছিল।
উভয় গোলাম রাফি ঘটনার স্থান ও সময়ের দিক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রথম গোলাম রাফি বেনাপোল ও আলীপুর জেলে ৯ মাস কাটিয়ে ফিরেছেন, অন্যদিকে দ্বিতীয় গোলাম রাফি কুমিল্লায় হত্যার শিকার হয়েছেন। এই তথ্যের মাধ্যমে তাদের পরিচয় নির্ধারণ করা সহজ।