গীতিকার সুজন হাজং

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:৩৫ এএম

গীতিকার সুজন হাজং: একজন প্রতিভাবান গীতিকার ও সংস্কৃতি কর্মী

সুজন হাজং একজন প্রতিভাবান গীতিকার, কবি, কলামিস্ট, গবেষক এবং অনুবাদক। তিনি বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার লেখা গান দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় শিল্পী গেয়েছেন এবং শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি নেত্রকোণার দুর্গাপুরের বাসিন্দা।

সুজন হাজং শুধু গানের কথাই লেখেন না, তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা এবং সংরক্ষণেও কাজ করেন। তাঁর এই কাজের জন্য তিনি সম্মাননা ও পুরস্কারও প্রাপ্ত হয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন ও হিমু পাঠাগারের প্রথম বর্ষপূর্তিতে হিমু পাঠাগার পদক পেয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিনে তিনি ‘আলোকবর্তিকা’ শীর্ষক একটি গান লিখেছেন, যা বেলাল খান ও আতিয়া আনিশা গেয়েছেন।

তার লেখা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নচিকেতা, সুবীর নন্দী, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, মেহরিন, প্রিয়াংকা গোপ, বেলাল খান, অবন্তী সিঁথি, নিশিতা বড়ুয়া, লুইপা, কিশোর, সাব্বির, মুহিন, পুতুল, লিজা, পুলক, রন্টি দাশ, সুস্মিতা সাহা, আতিয়া আনিসা প্রমুখ। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও বেশ কয়েকটি গান রচনা করেছেন। তার লেখা 'ভোরের সূর্য' গানটি ১০টি আদিবাসী ভাষায় অনুবাদ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রকাশ করা হয়েছে।

সুজন হাজংয়ের কাজ একজন গীতিকার হিসেবে মাত্র গান রচনায় সীমাবদ্ধ থেকে নেয় না। তিনি একজন সক্রিয় সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি চর্চা ও সংরক্ষণের জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অবদান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অমূল্য।

মূল তথ্যাবলী:

  • সুজন হাজং একজন প্রতিভাবান গীতিকার ও কবি।
  • তিনি বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক।
  • তার লেখা গান অনেক শিল্পী গেয়েছেন এবং জনপ্রিয় হয়েছে।
  • তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংরক্ষণে কাজ করেন।
  • প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তিনি ‘আলোকবর্তিকা’ গানটি লিখেছেন।
  • তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও বেশ কয়েকটি গান রচনা করেছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - গীতিকার সুজন হাজং