গাউছিয়া: একাধিক অর্থ ও পরিচয়
বাংলা ভাষায় ‘গাউছিয়া’ শব্দটি একাধিক প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়, যার ফলে এর অর্থ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা দ্ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে। প্রদত্ত লেখা অনুযায়ী, ‘গাউছিয়া’ শব্দটির সাথে দুটি প্রধান সংস্থা এবং একটি মার্কেট সম্পর্কিত।
১. গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ: এটি একটি সমাজ সংস্কারমূলক, অরাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক সংগঠন। এর উদ্দেশ্য হলো হযরত গাউসুল আ’যম আবদুল কাদের জীলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর আদর্শ ও পথকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা। এতে সুন্নিয়াতের প্রচার, বাতিল দলের মূলোৎপাটন এবং সিলসিলাহ আলীয়া কাদেরিয়া পন্থার প্রচার অন্তর্ভুক্ত। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চট্টগ্রামে অবস্থিত। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এটি দেশব্যাপী এবং মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
২. আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট: ‘গাউছিয়া’ শব্দটির সাথে এই ট্রাস্টেরও সম্পর্ক রয়েছে। এই ট্রাস্ট ‘মাসিক তরজুমান’ নামে একটি প্রকাশনা প্রকাশ করে। ১৯৭৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত 'আনজুমানে শূরা-এ রহমানিয়া' পরবর্তীতে ‘আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া’ নামে পরিচিতি লাভ করে। ট্রাস্টটির কর্মকাণ্ড মূলত সুন্নিয়াত ও ত্বরিকতের প্রচার-প্রসার ঘিরে।
৩. গাউছিয়া মার্কেট: লেখায় উল্লেখিত ‘গাউছিয়া’ একটি বাজারের নামও বোঝাতে পারে। দুটি প্রধান গাউছিয়া মার্কেট রয়েছে: ঢাকা গাউছিয়া মার্কেট এবং ভুলতা গাউছিয়া মার্কেট। ঢাকা গাউছিয়া মার্কেট ঢাকার নিউ মার্কেট অঞ্চলে অবস্থিত এবং সাধারণত মঙ্গলবার বন্ধ থাকে। অন্যদিকে, ভুলতা গাউছিয়া মার্কেট নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জের ভুলতায় অবস্থিত এবং সাধারণত শনিবার বন্ধ থাকে। এই মার্কেটগুলো পোশাক, কাপড় ইত্যাদি পণ্যের জন্য বিখ্যাত।
অতিরিক্ত তথ্য: লেখাটিতে উল্লেখিত বিভিন্ন ব্যক্তি, স্থান ও তারিখ গাউছিয়া সংস্থা এবং গাউছিয়া মার্কেটের ইতিহাস, কর্মকাণ্ড ও তাৎপর্য বুঝতে সহায়তা করবে। তবে কিছু বিষয় যেমন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের সদস্য সংখ্যা, আর্থিক তথ্য, আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের বিস্তারিত ইতিহাস, মার্কেটের আর্থিক তথ্য, আকার ইত্যাদি সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য প্রদত্ত লেখায় নেই। আমরা ভবিষ্যতে আরও তথ্য সংযোজন করে লেখাটি সম্পূর্ণ করব।