খেজুরের গুড়

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:০৮ এএম

খেজুরের গুড় বাংলাদেশ এবং ভারতের কিছু অঞ্চলে উৎপাদিত একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি হয়। অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করে আগুনের উত্তাপে ঘন করে পাটালি গুড়, ঝোলা গুড়, দানাগুড়, চিটাগুড় ইত্যাদি তৈরি করা হয়। খেজুরের গুড় পায়েস, পিঠা, জিলাপি প্রভৃতি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এবং এর বিভিন্ন ধরণের স্বাদ ও গুণমানের উপর ভিত্তি করে এর নামকরণ হয়েছে। যশোর, চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ প্রভৃতি জেলা খেজুরের গুড় উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। ১৯০০-১৯০১ সালে পূর্ববঙ্গে ২১ লাখ ৮০ হাজার ৫৫০ মণ খেজুরের গুড় উৎপাদিত হয়েছিল। ১৮৩৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের কাছে ধোবায় প্রথম খেজুর গুড় ও চিনির কারখানা স্থাপিত হয়। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, নলেন গুড়ের উল্লেখ শ্রীধরদাসের 'সদুক্তিকর্ণামৃত' নামক সংস্কৃত কাব্যগ্রন্থে এবং খেজুরের উল্লেখ ধর্মপালের খালিমপুর-লিপিতে পাওয়া গেছে। বর্তমানে খেজুর গাছ কাটার কম পারিশ্রমিক এবং ইটভাটায় அதிக ব্যবহারের কারণে এর বিলুপ্তির আশঙ্কা রয়েছে। তবে, খেজুরের গুড় গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি হয় খেজুরের গুড়
  • অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাসে রস সংগ্রহ করা হয়
  • পাটালি, ঝোলা, দানা, চিটা ইত্যাদি ধরনের গুড় রয়েছে
  • যশোর, চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, ফরিদপুর প্রভৃতি জেলা উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত
  • ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, নলেন গুড়ের উল্লেখ 'সদুক্তিকর্ণামৃত' নামক সংস্কৃত কাব্যগ্রন্থে পাওয়া গেছে
  • গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - খেজুরের গুড়

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

খেজুরের গুড়ের উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে এর দাম বেড়েছে এবং গুণগত মান কমে গেছে।

৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

নোয়াখালীতে খেজুর গাছ কমে যাওয়ায় খেজুরের গুড়ের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।