খুলনা জেলা প্রশাসন: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ
খুলনা জেলা প্রশাসন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ইউনিট। এটি বাংলাদেশের বিশেষ শ্রেণীভুক্ত জেলাগুলির মধ্যে একটি। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম জেলা। খুলনা বিভাগের সদর দপ্তর এই জেলা শহরে অবস্থিত। জেলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন অবস্থিত।
খুলনা জেলা প্রশাসনের অধীনে রয়েছে দুইটি পৌরসভা এবং একটি সিটি কর্পোরেশন। মোট ৯টি উপজেলা এই প্রশাসনিক ইউনিটের আওতাধীন। অর্থনৈতিকভাবে মৎস্য শিল্প এই জেলার অন্যতম প্রধান অবদানকারী। জেলাটি শিল্প কারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্যও পরিচিত।
খুলনা জেলার ইতিহাস বেশ পুরনো। প্রায় ৬০০ বছর আগে ইসলাম ধর্ম প্রচারক উলুঘ খানজাহান আলি এই অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করেছিলেন। ১৮৪২ সালে খুলনা যশোর জেলার মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। ১৮৮১ সালে এটিকে আলাদা জেলার মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৮৮২ সালে সাতক্ষীরা মহকুমা খুলনা জেলায় যুক্ত হয়। ১২ ডিসেম্বর ১৮৮৪ সালে খুলনা শহরকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। ৬ আগস্ট ১৯৯০ সাল থেকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কার্যকর হচ্ছে।
খুলনা জেলার ভৌগোলিক অবস্থান: উত্তরে যশোর ও নড়াইল, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বাগেরহাট এবং পশ্চিমে সাতক্ষীরা জেলা অবস্থিত। জেলাটি বেশ কিছু নদীর সমন্বয়ে গঠিত। আদমশুমারী অনুযায়ী, ২০১১ সালে খুলনা জেলার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫ লক্ষ, ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা প্রায় ২৬,১৩,৩৮৫ জন। শিক্ষার হার ৮০.১১%। জেলায় একটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
খুলনার অর্থনীতি মূলত মৎস্য, শিল্প ও বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল। এখানকার রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি ও হিমায়িত খাদ্য শিল্প বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মংলা সমুদ্র বন্দর এবং বেনাপোল স্থলবন্দর জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে খুলনার অর্থনীতির আরও উন্নয়ন হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে কিছু কিছু তথ্যের জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন। আমরা যখনই আরও বিস্তারিত তথ্য পাবো, তখন তা আপডেট করা হবে।