খায়রুজ্জামান বাবু

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৫ এএম

খায়রুজ্জামান বাবু নামে একাধিক ব্যক্তি বিদ্যমান। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, দুজন ব্যক্তিকে খায়রুজ্জামান বাবু নামে চিহ্নিত করা যায়:

প্রথম খায়রুজ্জামান বাবু: একজন অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক কূটনীতিক। তিনি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় তিনি অভিযুক্ত ছিলেন এবং পলাতক ছিলেন। মেজর পদে থেকে সেনাবাহিনীতে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফিলিপাইন থেকে ফিরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় তিনি জেল হত্যা মামলায় কারাভোগ করেন এবং চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার ক্ষমতায় এলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাকে পরে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরলে তাকে পুনরায় দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তিনি মালয়েশিয়াতেই অবস্থান করেন। ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে, পরে মালয়েশিয়া আদালত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেন।

দ্বিতীয় খায়রুজ্জামান বাবু: ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যুবলীগের সভাপতি ও সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল করোনা বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের ঘটনায় সহিংসতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

উভয় খায়রুজ্জামান বাবুর বিস্তারিত জীবনী ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আমরা আরো তথ্য পেলে এই নিবন্ধটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক কূটনীতিক খায়রুজ্জামান বাবু ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।
  • তিনি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
  • ২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার হন, পরে মুক্তি পান।
  • ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যুবলীগ নেতা খায়রুজ্জামান বাবু করোনা বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের ঘটনায় গ্রেফতার হন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।