খাসির মাংস বাঙালি খাদ্য সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ঈদ, দুর্গাপূজো, বিভিন্ন উৎসব এবং অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে খাসির মাংসের ব্যবহার ব্যাপক। এর সুস্বাদু স্বাদ ও পুষ্টিগুণের কারণে এটি প্রায় সকলের কাছেই জনপ্রিয়।
খাসির মাংসের বিভিন্ন রান্নার পদ্ধতি রয়েছে। ভুনা, কষা, রোস্ট, কাবাব— এছাড়াও আরো অনেক রকমভাবে খাসির মাংস রান্না করা যায়। রন্ধনপ্রণালী পছন্দ অনুসারে বিভিন্ন মশলা ও উপকরণ ব্যবহার করে খাসির মাংসের স্বাদ আরও উন্নত করা সম্ভব। তবে খাসির মাংসের বিভিন্ন অংশের স্বাদ ও গঠন ভিন্ন ভিন্ন। পাঁজরের মাংস সাধারণত সবচেয়ে নরম, কাঁধের মাংস কিছুটা শক্ত, পায়ের মাংস শক্ত ও চর্বিহীন, লয়েন অংশটি খুবই নরম এবং বুকের মাংস চর্বিযুক্ত। ঘাড়ের মাংস ও কঠিন, তবে ধীরগতিতে রান্না করলে নরম হয়। প্রয়োজনীয় উপকরণ ও রান্নার পদ্ধতি নির্বাচন করে খাসির মাংসের যেকোনো অংশকেই সুস্বাদু করে তোলা সম্ভব।
খাসির মাংসের পুষ্টিগুণও উল্লেখযোগ্য। এটি উচ্চ প্রোটিনের উৎস, এতে আয়রন, ভিটামিন বি১২ ও জিংক রয়েছে। তবে অত্যধিক খাসির মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সুতরাং, স্বাস্থ্যকর জীবনে সুষম খাদ্য গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।