খালেদ অ্যাগ্রো ফিশারিজ

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৪১ এএম

খালেদ অ্যাগ্রো ফিশারিজ: লক্ষ্মীপুরের এক খামারির দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা

গত ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ লক্ষ্মীপুরে এক দুঃখজনক ঘটনা সংঘটিত হয়। খালেদ অ্যাগ্রো ফিশারিজের মালিক খালেদ মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করেন যে, প্রতিদ্বন্দ্বী ফখর তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ ধ্বংস করেছে। খালেদ মোহাম্মদ আলী সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামের বাসিন্দা এবং ছাইদুল হক মাস্টারের ছেলে।

ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৬শে এপ্রিল ফখর খালেদের প্রজেক্ট থেকে মাছ চুরি করে। এরপর আদালতে মামলা হয়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়। এই ঘটনার জের ধরে, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ফখর তার ছেলে ও ভাতিজাসহ পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ ধ্বংস করে।

ফখরের ভাই মাঈন উদ্দিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে, মূলত খালেদই তাদের পুকুর থেকে পানি সেচ করে মাছ শিকার করেছে। লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মোহাব্বত বলেন, ফখর মাঝে মাঝে বরশি দিয়ে মাছ শিকার করতেন, কিন্তু বিষ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

এই ঘটনা লক্ষ্মীপুরে মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে শত্রুতা ও অবৈধ কার্যকলাপের বিরাজমানতা তুলে ধরেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ও ন্যায্য বিচার প্রদানের মাধ্যমে এ ধরণের অপরাধ রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • লক্ষ্মীপুরের খালেদ অ্যাগ্রো ফিশারিজের পুকুরে বিষ প্রয়োগে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ ধ্বংসের অভিযোগ
  • খালেদ মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি এ ঘটনার অভিযোগ করেছেন
  • প্রতিদ্বন্দ্বী ফখর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
  • আদালতে পূর্বের মাছ চুরির মামলার বিষয়টি উঠে এসেছে
  • থানায় লিখিত অভিযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - খালেদ অ্যাগ্রো ফিশারিজ

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

খালেদ অ্যাগ্রো ফিশারিজের মালিক খালেদ মোহাম্মদ আলীর খামারে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে।