কয়েস আহমদ: ড্রাগন চাষে সফলতা ও উদ্যম
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের আরেঙ্গাবাদের বাসিন্দা কয়েস আহমদ (৬৫) একজন সফল ড্রাগন ফল চাষি। ২০১৯ সালে ঢাকায় ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়ে তিনি প্রথম ড্রাগন ফল খান এবং এর স্বাদে মুগ্ধ হয়ে এর চাষাবাদে আগ্রহী হন। ইউটিউব ও অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাগন চাষের পদ্ধতি শিখে নাটোর থেকে ৪০০ ড্রাগনের কাটিং (চারা) সংগ্রহ করে ২০২০ সালের অক্টোবরে ১৫ শতক জমিতে রোপণ করেন। ১৮ মাস পর ফল ধরতে শুরু করে এবং ২০২২ সালে প্রথম মৌসুমে ৭০ হাজার টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেন। গত বছর এক মৌসুমে তার আয় হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
ড্রাগনের চারা, টায়ার, খুঁটি, মাটি তৈরিতে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হলেও এখন মাসে দেড় হাজার টাকা খরচে জৈব সার, আগাছা পরিষ্কার ও কুশি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় কাঁঠালতলি, দক্ষিণভাগ, জুড়ী বাজারের ফল ব্যবসায়ীরা তাঁর কাছ থেকে ড্রাগন কিনে নেন। প্রতি কেজি ফল ১৫০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি করেন।
কয়েস আহমদ এরই মধ্যে ড্রাগন চাষে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ৩০ শতক জমিতে নতুন একটি ড্রাগনবাগান গড়ে তুলেছেন। নতুন বাগানে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি অনেককে ড্রাগন চাষ করতে উৎসাহিত করেন এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে কাজ করেন। বড়লেখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন কয়েস আহমদের ড্রাগনবাগানটি অনেক কৃষককে দেখিয়ে উৎসাহিত করছেন।
উল্লেখ্য, এই লেখাটি শুধুমাত্র কয়েস আহমদের ড্রাগন চাষের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তাঁর জীবনের অন্যান্য দিক সম্পর্কে যদি আরও তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে সেগুলো পরবর্তীতে যোগ করা হবে।