কৃষি বিভাগ কর্মকর্তা

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২:১০ পিএম

ঢাকা মহানগরীর কৃষি কর্মকর্তারা: একটি বিতর্কিত ভূমিকা

ঢাকা মহানগরীতে কৃষিজমি বলতে গেলে খুবই সীমিত, তবুও কৃষি বিভাগের অধীনে একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তাদের কাজ ও কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কী কাজে এত কর্মকর্তা প্রয়োজন?

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ছয়টি কৃষি মেট্রোপলিটন অঞ্চল রয়েছে: মিরপুর, মোহাম্মদপুর, গুলশান, উত্তরা, তেজগাঁও এবং কামরাঙ্গীর চর। তবে তেজগাঁও ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে কোন আবাদি জমি নেই। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, গুলশান এবং কামরাঙ্গীর চরের কার্যালয়গুলো ঢাকার খামারবাড়ির কাছে একই ভবনে অবস্থিত। কৃষি কর্মকর্তাদের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে ছাদবাগানের পরামর্শ দেওয়া উল্লেখ করা হলেও, সাধারণ জনগণের কাছে তাদের সেবা পৌঁছানোর ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে।

অনেকের অভিজ্ঞতা বলছে, কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া কঠিন। এমনকি, ফোনে যোগাযোগ করেও তেমন কোনো সহায়তা মেলেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তারা দাবি করছেন যে, ঢাকা মহানগরীতে চার হাজার ৬০০ ছাদবাগান রয়েছে এবং তারা সেগুলোর পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে শিক্ষাবিদ ও কৃষিবিদরা এ বক্তব্যের সাথে একমত নন। তাদের মতে, ঢাকার কৃষি কর্মকর্তারা যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না।

এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ঢাকার কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য নতুন পরিকল্পনা, সবুজায়নের নতুন কর্মসূচি এবং জনবলের পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নয়নও অত্যন্ত জরুরী। কৃষি কল সেন্টারের মতো সেবার উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, তাহলে কৃষি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয়তা কতটা? ২০১৮ সালে নগর কৃষি উন্নয়নের নামে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হলেও, তার ব্যর্থতাও উঠে এসেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ঢাকা মহানগরীতে কৃষি কর্মকর্তাদের সংখ্যা ও তাদের কাজের উপর প্রশ্ন উঠেছে।
  • সাধারণ মানুষ কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তা লাভে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।
  • ছাদবাগানের পরামর্শ দেওয়া ছাড়া অন্য কোন কাজের প্রমাণ নেই।
  • কৃষি কর্মকর্তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি উঠেছে।
  • নগর কৃষি উন্নয়নের নামে ২০১৮ সালে একটি ব্যর্থ পাইলট প্রকল্পের উল্লেখ করা হয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - কৃষি বিভাগ কর্মকর্তা

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানিয়েছেন, মেহেরপুরে শীতকালীন সবজির দাম হঠাৎ করে কমে গেছে।