কুলসুম আক্তার নামটি বেশ কিছু ব্যক্তি, সংস্থা বা ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় তাদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, কুলসুম আক্তার নামে কমপক্ষে তিনটি আলাদা ঘটনা উঠে এসেছে:
ঘটনা ১: হত্যা মামলার আসামি
একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন চট্টগ্রামের কুলসুম আক্তার (কুলসুমী)। ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জ এলাকায় এক পোশাককর্মীর মৃত্যুর সাথে তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি ২০১৭ সালে দোষী সাব্যস্ত হন এবং ২০১৮ সালে কারাগারে যান। তার স্বামীর নাম ছালে আহম্মেদ।
ঘটনা ২: মিনু আক্তারের নামে কারাগারে থাকা
একটি আলাদা ঘটনায় মিনু আক্তার নামে এক নারী কুলসুম আক্তারের সাজা ভোগ করেছেন। পরবর্তীতে জানা গেছে যে মর্জিনা আক্তার নামের একজন নারী কুলসুম আক্তারের সাজা ভোগ করার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা ও সন্তানদের ভরণপোষণের আশ্বাস দিয়ে মিনু আক্তারকে রাজি করিয়েছিলেন। মিনু আক্তারের স্বামীর নাম মোহাম্মদ বাবুল এবং তার তিনটি সন্তান রয়েছে। মিনু আক্তারের বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর জাফারাবাদ এলাকায়। মিনু আক্তারের মৃত্যু হয়েছে ২০১৮ সালের ১২ জুন।
ঘটনা ৩: মিথ্যা মামলার বাদী
আরেকটি ঘটনায় ঢাকার আশুলিয়া থানায় জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা করেন কুলসুম আক্তার। তিনি দাবি করেছেন যে, চাকরির প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে তাকে এটি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই কুলসুম আক্তারের স্বামীর নাম আল-আমিন মিয়া। তাঁদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার সিংজুরী গ্রামে।
উপরোক্ত তিনটি ঘটনার সাথে যুক্ত কুলসুম আক্তারদের মধ্যে সম্পর্ক এখনও স্পষ্ট নয়। আরও তথ্য পাওয়ার পর আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।