কিষেণজি

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২:১২ পিএম

কিষেণজি নামটিতে পরিচিত মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও (২৬ নভেম্বর, ১৯৫৪ – ২৪ নভেম্বর, ২০১১) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)র একজন শীর্ষ নেতা ছিলেন। তিনি পলিট ব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের সদস্য ছিলেন এবং পার্টির সামরিক নেতৃত্বও দিয়েছেন। ভারত সরকার কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) কে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। কিষেণজিকে ‘ভারতে মাওবাদের মুখ’ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

২০১০ সালে তিনি গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি জ্যোতি বসুকে পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকায় অনুন্নয়নের জন্য দায়ী করেন এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নীতিকেও সমালোচনা করেন। তিনি ইসলামি উত্থানের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে লেখেন যে, এটি মার্কিন বিরোধী এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী।

২৪ নভেম্বর ২০১১-তে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামের বুড়িশোল জঙ্গলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, কারণ মাওবাদী দল এবং মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, তাকে গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছে। কবি ভারভারা রাও এবং শিল্পী কবির সুমন তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

২০২৪ সালের অক্টোবরে কিষেণজির স্ত্রী পোথুলা কল্পনাকে ওরফে সুজাতাকে গ্রেফতার করা হয়। কিষেণজির ভাতৃবধূ বিমলা চন্দ সিদাম (তারাক্কা) ২০২৫ সালে মহারাষ্ট্রের গঢ়ছিরৌলিতে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির কমান্ডার ছিলেন এবং কিষেণজির আস্থাভাজন ছিলেন বলে জানা যায়। তার স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও, কিষেণজি নামে পরিচিত, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)র শীর্ষ নেতা ছিলেন।
  • তিনি ২৪ নভেম্বর ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বুড়িশোল জঙ্গলে নিহত হন।
  • তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে বিতর্ক রয়েছে, অনেকেই মনে করেন তাঁকে গ্রেপ্তার করে হত্যা করা হয়েছে।
  • কিষেণজি জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যকে সমালোচনা করেছিলেন।
  • তেলঙ্গানা পুলিশ ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে কিষেণজির স্ত্রী সুজাতাকে গ্রেফতার করে।
  • কিষেণজির ভাতৃবধূ বিমলা চন্দ সিদাম ২০২৫ সালে আত্মসমর্পণ করেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - কিষেণজি