কচ্ছপিয়া উপকূল নিয়ে লেখা নিবন্ধটিতে দুটি ভিন্ন স্থানের উল্লেখ রয়েছে যার ফলে কিছুটা দ্ব্যর্থতা দেখা দিয়েছে। প্রথমটি হল বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার একটি ইউনিয়ন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন। দ্বিতীয়টি হল কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত মেধা কচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন:
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন রামু উপজেলার ৩নং ইউনিয়ন পরিষদ। এর আয়তন ১০,৭৭০ একর (৪৩.৫৮ বর্গ কিলোমিটার)। ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ২৮,৩৩৬ জন, যার মধ্যে পুরুষ ১৪,৪৯৮ জন এবং মহিলা ১৩,৮৩৮ জন। উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। এর উত্তর-পশ্চিমে গর্জনিয়া ইউনিয়ন, পশ্চিমে কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন ও বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন, দক্ষিণে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন, পূর্বে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন এবং উত্তর-পূর্বে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়ন অবস্থিত। কচ্ছপিয়ার সাক্ষরতার হার ২১.৯৭%। এখানে ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি কওমি মাদ্রাসা এবং ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। রামু-কচ্ছপিয়া সড়ক এবং নাইক্ষ্যংছড়ি-আলীকদম সড়ক ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম। বাঁকখালী নদী, বড় জাংছড়ি খাল, দোছড়ি খাল এবং ছোট জাংছড়ি খাল এখানে অবস্থিত। গর্জনিয়া বাজার এবং দোছড়ি বাজার ইউনিয়নের প্রধান হাট-বাজার। নাপিতের চর এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারে আমির মোহাম্মদ চৌধুরী ও ছুরুত আলম চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
মেধা কচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান:
মেধা কচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৮ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত হয়। এর আয়তন প্রায় ৩৯৫.৯২ হেক্টর। এটি বিশালাকৃতির গর্জন গাছের জন্য পরিচিত। ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বন এখানে বিরাজমান। উদ্যানটি কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন। ১ থেকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১৮৩০৫ জন লোক বসবাস করে। এই এলাকার অধিবাসীরা কৃষিকাজ, লবণ চাষ এবং মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমনের ফলে জনসংখ্যা চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। শতবর্ষী গর্জন বন রক্ষার জন্যই উদ্যানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।