কচুয়া এলাকা

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৬ এএম

কচুয়া উপজেলা: চাঁদপুর জেলার একটি প্রশাসনিক অঞ্চল, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের অধিকারী।

ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন:

কচুয়া উপজেলা চাঁদপুর জেলার মধ্যে অবস্থিত। এর আয়তন ২৩৫.৮১ বর্গ কিলোমিটার (৫৮,২৭১ একর)। উত্তরে কুমিল্লার চান্দিনা ও দাউদকান্দি, দক্ষিণে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি, পূর্বে কুমিল্লার বরুড়া ও চান্দিনা, এবং পশ্চিমে মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত।

ইতিহাস:

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে কচুয়া দাউদকান্দি থানার অধীনে ছিল। পরে মহারানী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকালে হাজীগঞ্জের অন্তর্গত হয়। ১৯১৮ সালের ২৫ জানুয়ারী হাজীগঞ্জ থেকে পৃথক হয়ে কচুয়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। কচুয়া নামকরণের ব্যাখ্যায় জনশ্রুতি রয়েছে দুটি, এক্ষেত্রে সেনিটিক ভাষায় 'কাচওয়া' থেকে কচুয়া নামকরণ এবং ১৯০৫ সালের জরিপের 'কুচ হুয়া' থেকে নামকরণ। হযরত শাহ নেয়ামত শাহের আস্তানা কচুয়া বাজারের তারিনীর দিঘির পাড়ে ছিল। ১৯৮৩ সালের ২০ জুলাই কচুয়া থানা উপজেলায় রুপান্তরিত হয়।

জনসংখ্যা ও শিক্ষা:

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কচুয়ার জনসংখ্যা ৩,৮২,১৩৯ জন। সাক্ষরতার হার ৫৩.৮%। এখানে ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ, চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ৩টি ডিগ্রি কলেজ, ১টি কামিল মাদ্রাসা, ৬টি ফাজিল মাদ্রাসা, প্রায় ৩০টি উচ্চ মাধ্যমিক, প্রায় ১৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং অনেক বেসরকারি স্কুল রয়েছে।

অর্থনীতি:

কচুয়ার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। কৃষি, অকৃষি শ্রমিক, শিল্প, ব্যবসা, পরিবহন, চাকরি, নির্মাণ, ধর্মীয় সেবা, ভাড়া ও প্রবাসী আয় অর্থনীতির প্রধান উৎস। ধান, গম, আলু, সরিষা, তিল প্রধান ফসল। আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, কুল প্রধান ফল। আটা কল, হিমাগার, বরফ কল, ওয়েল্ডিং কারখানা ইত্যাদি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে।

ঐতিহাসিক স্থান:

তুলাতুলী মঠ, পালগিরি মসজিদ (পাঁচশ বছরের প্রাচীন), দুলাল রাজার দিঘি, থানা বিবি ও দুলাল রাজার কবর, দারাশাহী তুলপাই মসজিদ, শেখ দারা রামেশ্বরীর ত্রিতল ভগ্নপ্রাসাদ, আশ্রাফপুরের তিন গম্বুজ মসজিদ, নিমাই দিঘি, সাচারের জগন্নাথ মন্দির, মনসা মুড়া, সাহার পাড়ের দিঘি, উজানী বখতিয়ার খাঁ মসজিদ, বেহুলা-লক্ষিন্দরের উপাখ্যানের স্থান। রঘুনাথপুর বাজারে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা।

কচুয়া উপজেলা সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। কৃষি ও ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থানের জন্য পরিচিত। উন্নয়নশীল অঞ্চল।

মূল তথ্যাবলী:

  • চাঁদপুর জেলার একটি প্রশাসনিক উপজেলা
  • ২৩৫.৮১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন
  • ৩,৮২,১৩৯ জনসংখ্যা (২০১১)
  • কৃষিপ্রধান অর্থনীতি
  • ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - কচুয়া এলাকা

জানুয়ারী ০৬, ২০২৫

বড় ডালিমা গ্রামের কচুয়া এলাকার একটি মসজিদের পাশে অপহৃত ব্যবসায়ীকে আটকে রাখা হয়েছিল।