কক্সবাজার, বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতসহ নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। চট্টগ্রাম থেকে ১৫২ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে ৪১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জেলায় বৈচিত্র্যময় উপজাতি ও নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানের তালিকা বেশ লম্বা; লাবনী বীচ, সুগন্ধা বীচ, কলাতলি বীচ, ইনানী বীচ, মেরিন রোড, হিমছড়ি, সেন্টমার্টিন, রামু বৌদ্ধ বিহার, মহেশখালী, সোনাদিয়া দ্বীপ, কুতুবদিয়া দ্বীপ এবং আরো অনেক।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, বালুকাময় এবং অপূর্ব সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। আধুনিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পরিপূর্ণ।
সেন্টমার্টিন: বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। কক্সবাজার শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপটি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
রামু: ঐতিহ্যবাহী উপজেলা, প্রাচীন বৌদ্ধ নিদর্শন ও ৩৫টির বেশি বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে।
মহেশখালী: কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। জনশ্রুতি অনুযায়ী, ১৫৫৯ সালের একটি ঘটনার সাথে এর ইতিহাস জড়িত।
ইনানী বীচ: হিমছড়ি থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভাটার সময় প্রবাল প্রাচীর দেখা যায়।
হিমছড়ি: কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে, পাহাড়ি অঞ্চল ও সৈকতের মনোরম দৃশ্যের জন্য জনপ্রিয়।
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড: আন্তর্জাতিক মানের একটি ফিশ অ্যাকুরিয়াম।
সোনাদিয়া দ্বীপ: মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত, ক্যাম্পিং করার উপযুক্ত স্থান।
রামু রাবার বাগান: ঐতিহ্যবাহী রাবার বাগান।
নিভৃতে নিসর্গ পার্ক: নীল জলরাশি, সবুজ পাহাড় এবং মেঘের মিলনের স্থান।
লামাপাড়া খিয়াং: বাকখালী নদীর তীরে অবস্থিত।
ইনানী রয়েল রিসোর্ট: ইনানী বীচে অবস্থিত একটি রাজকীয় রিসোর্ট।
কক্সবাজারের আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়। কক্সবাজার ভ্রমণের পরিকল্পনা করার আগে, দর্শনীয় স্থানগুলি সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।