রাশিয়ার নতুন মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ নিয়ে আলোচনায় রয়েছে বিশ্ব। ‘ওরেশনিক’, যার রুশ অর্থ ‘হ্যাজেল ট্রি’, একটি অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র যা পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিনের দাবি, ওরেশনিক শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি গতিতে ছুটতে পারে এবং বর্তমানে একে প্রতিহত করার কোনো উপায় নেই। তিনি আরও জানান, এই ক্ষেপণাস্ত্র মধ্য-আকাশে নিজের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে, যা একে আরও কার্যকর ও প্রতিরোধী করে তোলে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্রে তিন থেকে ছয়টি স্বাধীনভাবে নিয়ন্ত্রিত ওয়ারহেড থাকতে পারে, যা একসাথে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভিন্ন দাবি করেছে, যেখানে ওরেশনিককে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রকৃত ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে এখনও মতভেদ রয়েছে।
ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের পেছনে রাশিয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ইউক্রেনের পশ্চিমা দেশসমূহের সরবরাহকৃত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা। এই ঘটনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করেছে এবং বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। ওরেশনিকের মতো অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ও মোতায়েন বিশ্ব শক্তি সমীকরণে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই ক্ষেপণাস্ত্র ইউরোপের অধিকাংশ দেশকেই হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।