এসএমএস

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম

এসএমএস (SMS) বা শর্ট মেসেজ সার্ভিস হলো মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত লেখা বার্তা আদান-প্রদানের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রথম এসএমএস বার্তা পাঠানো হয় যুক্তরাজ্যের ভোডাফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। সেমা গ্রুপের টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার নীল প্যাপওয়ার্থ 'মেরি ক্রিসমাস' বার্তাটি ভোডাফোনের রিচার্ড জার্ভিসের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

এসএমএস প্রযুক্তি মূলত GSM (Global System for Mobile Communications) মানের অংশ হিসেবে উদ্ভাবিত হয়েছিল। এটির উদ্ভাবনকারীদের মধ্যে ফ্রিডহেল্ম হিলেব্র্যান্ড এবং বার্নার্ড গিলেবার্ট অন্যতম। ১৯৮৪ সালে ফ্রাঙ্কো-জার্মান GSM সহযোগিতার মাধ্যমে এই ধারণার বিকাশ ঘটে। প্রাথমিকভাবে এটি মোবাইল অপারেটরদের থেকে গ্রাহকদের বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা জানাতে ব্যবহৃত হত।

ধীরে ধীরে এটি ব্যক্তিগত যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০১০ সালের শেষের দিকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন সক্রিয় এসএমএস ব্যবহারকারী ছিল।

এসএমএস ব্যবহারের ক্ষেত্র ব্যাপক। ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছাড়াও এটি ব্যবহৃত হয় মোবাইল মার্কেটিং, দ্বি-ഘടক প্রমাণীকরণ, টেলিভোটিং, মোবাইল ব্যাংকিং, এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজে। তবে সম্প্রতি, WhatsApp, Facebook Messenger, Telegram, WeChat এর মতো নতুন মেসেজিং সার্ভিসের আবির্ভাবের ফলে এসএমএসের জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে।

প্রযুক্তিগতভাবে, এসএমএস বার্তাগুলি একটি SMSC (Short Message Service Center) এর মাধ্যমে পাঠানো হয়। এটি একটি স্টোর অ্যান্ড ফরওয়ার্ড ব্যবস্থা ব্যবহার করে এবং বার্তা প্রেরণের জন্য 'বেস্ট এফোর্ট' পদ্ধতি অনুসরণ করে। এসএমএস বার্তাগুলির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য সাধারণত ১৬০ ৭-বিট অক্ষর। দীর্ঘ বার্তার জন্য কনক্যাটেনেটেড এসএমএস ব্যবহার করা হয়।

বিভিন্ন দেশে এসএমএস ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে ২০১১ সালে প্রতি গ্রাহক প্রতি মাসে এসএমএস বার্তার সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার নীতিমালা চালু করা হয়েছিল।

এসএমএস প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রকৌশলীদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এটি বিশ্বব্যাপী তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তবে, এসএমএসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু উদ্বেগও বিদ্যমান।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৯২ সালে প্রথম এসএমএস বার্তা পাঠানো হয়।
  • GSM মানের অংশ হিসেবে উদ্ভাবিত।
  • ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত।
  • সম্প্রতি অন্যান্য মেসেজিং সার্ভিসের আবির্ভাবের ফলে জনপ্রিয়তা কমেছে।
  • SMSC এর মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ।
  • ১৬০ ৭-বিট অক্ষরের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য।
  • বিভিন্ন দেশে ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।