বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে। দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার (২২ ডিসেম্বর) এই মামলাটি করা হয়। দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে, ২০২২ সালে পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এস কে সুরের নাম জড়িত থাকার কারণে দুদক তদন্ত শুরু করে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে তাকে তলব করা হয়। গত বছরের আগস্টে দুদক তাদের পরিবারের সব ধরনের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছিল। এস কে সুর ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ডেপুটি গভর্নর থাকাকালীন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের ঋণ কেলেঙ্কারিতে সহযোগিতা করেছেন এবং সুবিধা গ্রহণ করেছেন। ২০২১ সালের জুলাইতে পি কে হালদারের কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িত থাকার কারণে এস কে সুর ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় এনবিআর। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হওয়ার পর থেকে তাঁর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পি কে হালদার বিভিন্ন কৌশলে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন এবং ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার সন্দেহ রয়েছে। পি কে হালদার দেশ ছাড়ার পর ভারতে গ্রেপ্তার হন।
এস কে সুর চৌধুরী
মূল তথ্যাবলী:
- এস কে সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদক মামলা করেছে।
- পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এস কে সুরের নাম জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
- এস কে সুর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর পদ থেকে অবসর নেন।
- দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হওয়ার পর থেকে এস কে সুরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
গণমাধ্যমে - এস কে সুর চৌধুরী
এস কে সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী ও কন্যা সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় দুদকের মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।
এস কে সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে।
এস কে সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী ও কন্যা সম্পদের বিবরণী দাখিল করেননি বলে অভিযোগ।
এস কে সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী ও কন্যা সম্পদের বিবরণী দাখিল করেননি বলে দুদকের কাছে অভিযোগ আনা হয়েছে।