এস. এম. শফিকুর রহমান নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই বিভ্রান্তি এড়াতে নিচে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো।
ডা. এস. এম. শফিকুর রহমান (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর):
ডা. শফিকুর রহমান বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমীর। তিনি ১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। ১৯৭৬ সালে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৮৩ সালে সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।
তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৭৩ সালে জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগদান করেন। ১৯৮৪ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল, ২০১১ সালে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এবং ২০১৬ সালে সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নির্বাচিত হন। তিনি ২০২৩-২০২৫ কার্যকালের জন্য পুনরায় আমীর নির্বাচিত হয়েছেন। ডা. শফিকুর রহমান ৫ই জানুয়ারি ১৯৮৫ সালে ডাঃ আমেনা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথেও যুক্ত। উল্লেখযোগ্য হলো, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
এস. এম. শফিকুর রহমান (খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী):
এস.এম. শফিকুর রহমান খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ও কার্যকলাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ নেই। আমরা আরো তথ্য জোগাড় করে পরবর্তীতে আপনাকে অবগত করবো।
সাংবাদিক শফিকুর রহমান:
একজন সাংবাদিক শফিকুর রহমান চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য ও জাপানে সাংবাদিকতার ওপর উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন। তিনি ইত্তেফাক-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং দুইবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান সম্পাদক।