টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনার পর, মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাটি দায়ের করেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত এস এম মোক্তার হোসেনের ছেলে। এস এম আলম হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার আলমি শুরার সাথে যুক্ত।
মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকশত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাদ অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আব্দুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আব্দুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ। এই আসামিরা সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
এজাহারে বলা হয়েছে যে, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের মূল ইজতেমার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইজতেমা মাঠে জোবায়ের অনুসারীরা অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যেই সাদ অনুসারীরা অনুমতি ব্যতীত ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ দিনের জোড় করার পরিকল্পনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানি ছড়াতে থাকে। মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার চিঠির মাধ্যমে দেশের সকল সাদ অনুসারীদের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে জোড়ে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন। এর ফলে হাজার হাজার সাদ অনুসারী ইজতেমা মাঠে জড়ো হন এবং মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জোবায়েরপন্থীদের ওপর হামলা চালান।
এই হামলায় আমিনুল ইসলাম (৬৫), বেলাল হোসেন (৬০), এবং তাজুল ইসলাম নামে তিন ব্যক্তি প্রাণ হারান। এস এম আলম হোসেন এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে মামলাটি গ্রহণ করেছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।