এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:৫৪ এএম

এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি বিতর্কিত শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের অধীনে পরিচালিত একটি ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি হিসাবে পরিচিত। তাদের অনুমোদিত মূলধন ৩৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭১ হাজার ১০০টি এবং রিজার্ভে রয়েছে ৪০ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪১২ কোটি ১২ লাখ টাকা। এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম সম্প্রতি পতন দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১.৮০ শতাংশ, বাজারে মূলধন কমেছে ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের ১৯ ডিসেম্বর ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১৯ পয়সা, যখন আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩১ পয়সা। গত তিন প্রান্তিকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২৮ পয়সা, আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২৪-এর হিসেবে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা।

উল্লেখ্য, এস আলম গ্রুপের সঙ্গে জড়িত নানা বিতর্কের কারণে, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের অভিযোগের পর, গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। কাঁচামাল সংকটের কারণে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলসহ অন্যান্য কারখানা বন্ধ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
  • প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম সম্প্রতি পতন দেখা দিয়েছে।
  • গত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে।
  • এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন অভিযোগের কারণে কারখানার কার্যক্রমে সংকট দেখা দিয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ারের দাম কমেছে এবং বাজার মূলধন কমেছে।

এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ারের দাম চারদিনে ১৭ কোটি টাকার বেশি কমেছে।