ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। ১৯ জুলাই ২০০৭ সালে জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বে এই দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। বর্তমানে দলটি দুটি অংশে বিভক্ত; একটি বিশ্ব দলীয় জোটের শরিক, অপরটি নতুন জোট এনডিএফ-এর নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এনপিপির নেতৃত্বে ১৭টি দল নিয়ে গঠিত নির্বাচনী জোট ‘গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ’র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। এনপিপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ ছালাউদ্দিন ছালুর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই জোটের অন্যান্য দলগুলো হলো: জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, ডেমোক্রেটিক পার্টি বাংলাদেশ (ডিপিবি), বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য ফ্রন্ট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন-বিজিএ, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন, বাংলাদেশ নাগরিক কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ কনজারভেটিভ পার্টি (বিসিপি), গণমুক্তি পার্টি, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন পার্টি, বাংলাদেশ ন্যায় বিচার পার্টি, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ আইডিয়াল পার্টি এবং বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি।
এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু জানিয়েছেন, এনপিপি একটি নির্বাচনমুখী দল এবং তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তির রাজনীতি, দেশের উন্নয়ন এবং মৌলিক অধিকার রক্ষায় বিশ্বাসী। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন লক্ষ্য করে এই জোট গঠন করা হয়েছে। ‘গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ’র লক্ষ্য দেশের রাজনৈতিক গুণগত মানের পরিবর্তন এবং সুষ্ঠু, সম্প্রীতিপূর্ণ ও দুর্নীতি-মাদকবিরোধী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা। তারা ৩০০ আসনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। মরহুম শেখ শওকত হোসেন নিলুর স্লোগান ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে বিকল্প রাজনীতি গড়ে তোলা’-র ধারাবাহিকতায় এনপিপি কাজ করছে। 'গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ' ১৮ দফা ঘোষণাপত্রও প্রকাশ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এনপিপির মহাসচিব ইদ্রিস চৌধুরী, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মন্ডল, জাগপার সভাপতি এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মেদ (বাবলু), ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আবুল কালাম, আনিসুর রহমান দেওয়ান, সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাছ, ডিপিবির চেয়ারম্যান এ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য ফ্রন্টের সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান হাওলাদার, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি খাজা মহিবউল্যাহ শান্তিপুরী, বাংলাদেশ নাগরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শহীদুন্নবী ডাবলু, বিজিএ এর চেয়ারম্যান এ আর এম জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিসিপির চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান দেশ, বাংলাদেশ জাতীয় লীগের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জহিরুল ইসলাম মনি, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ পার্টির সভাপতি আসাদুল হক হাজরা হিমন, এবং গণমুক্তি পার্টির সভাপতি নাজমুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও এনপিপি ঘোষণা করেছে।