ইউনিভার্সিটি অব মালয়া

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১৩ এএম

ইউনিভার্সিটি অব মালয়া: একটি বিশদ পর্যালোচনা

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব মালয়া (Universiti Malaya) দেশটির একটি সরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি মালয়েশিয়ার প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এর অবস্থান ৮৭তম (মার্কিন নিউজ ও ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অনুযায়ী)।

প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস:

১৯০৫ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে কিং এডওয়ার্ড কলেজ এবং ১৯৪৯ সালের ৮ই অক্টোবর কিং এডওয়ার্ড মেডিকেল কলেজ এবং ১৯২৮ সালে রাফেলস কলেজের সমন্বয়ে ইউনিভার্সিটি অব মালয়া প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে মালয়েশিয়ার শিক্ষা বিষয়ক উচ্চ কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। এটি ছিল একটি সাধারণ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় যা জাতি, ধর্ম ও অর্থনৈতিক আগ্রহের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৯ সালে সিঙ্গাপুর ও ১৯৬০ সালে কুয়ালালামপুরে দুটি স্বায়ত্তশাসিত বিভাগ স্থাপিত হয়। অবশেষে ১লা জানুয়ারি ১৯৬২ সালে ইউনিভার্সিটি অব মালয়া একীভূত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রশাসন:

১৬ই জুন ১৯৬২ সালে মালয়েশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী তুংকু আব্দুল রহমান পুত্র আল-হাজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন। বিশিষ্ট গণিতবিদ প্রফেসর ওপেনহেইম প্রথম ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন। বর্তমানে সুলতান নাজরিন মুজিউদ্দিন শাহ চ্যান্সেলর এবং ড. আব্দুল রহিম ভাইস-চ্যান্সেলর (নভেম্বর ২০১৭ থেকে)।

অনুষদ ও বিভাগ:

বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব মালয়ায় ১২টি অনুষদ, ২টি পরিষদ এবং ৩টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আইন অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, দন্তচিকিত্সা অনুষদ, মেডিসিন অনুষদ, অর্থনীতি অনুষদ, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদ, হিসাববিদ্যা অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, ভাষা ও ভাষাতত্ত্ব অনুষদ, কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অনুষদ, অ্যাকাডেমি অফ এশিয়ান স্টাডিজ, ইসলামিক স্টাডিজ এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

গবেষণা, উদ্ভাবন, প্রকাশনা ও শিক্ষণের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার একটি আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান গঠন করা ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার প্রধান লক্ষ্য। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য দেশ ও মানবতার জন্য মানসম্মত গবেষণা ও শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান ও শিক্ষার অগ্রগতি সাধন করা।

স্কলারশিপ:

ইউনিভার্সিটি অব মালয়া প্রতিবছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ৫৫০টিরও বেশি ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ প্রদান করে। এই স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সম্পূর্ণ খরচ, টিউশন ফি, আবাসন ফি এবং জীবনযাত্রার অন্যান্য খরচ বহন করে বিশ্ববিদ্যালয়।

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী:

ইউনিভার্সিটি অব মালয়া থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে অনেক উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে দুইজন প্রধানমন্ত্রী, অনেক মন্ত্রী এবং আরও অনেকে রয়েছেন যারা মালয়েশিয়া ও বিদেশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

অবস্থান: কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া

ধরণ: সরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়

মূল তথ্যাবলী:

  • মালয়েশিয়ার প্রাচীনতম ও সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়
  • বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থান
  • ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • ১২টি অনুষদ, ২টি পরিষদ ও ৩টি কেন্দ্র
  • আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতনামা গবেষণা প্রতিষ্ঠান
  • প্রচুর সংখ্যক ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ প্রদান করে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।