ইউটিউব নাটক: বাংলাদেশের ডিজিটাল বিনোদনের নতুন মাত্রা
সম্প্রতি বাংলাদেশে ইউটিউব একটি বৃহৎ নাটকের আধার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। টেলিভিশনের বাইরেও, দর্শকরা ইউটিউবে নাটক দেখার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঈদে ৫০০-র বেশি নাটক ইউটিউব এবং টিভিতে প্রচারিত হয়েছে। ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে কোটি কোটি ভিউ পাওয়া নাটকের উদাহরণও রয়েছে। কাজল আরেফিন পরিচালিত ‘গুড বাজ’ এবং মহিদুল মহিম পরিচালিত ‘দরদ’ এরকম দুটি উল্লেখযোগ্য নাটক যা ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে ছিল। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে মাহমুদ মাহিনের ‘ডিয়ার লাভ’ ও ‘শাদী মোবারক’, মাবরুর বান্নাহর ‘একজন মধ্যবিত্ত বলছি’ এবং আরও অনেক। এইসব নাটক বিভিন্ন বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিত, যেমন বন্ধুত্ব, প্রেম, বিয়ের পরের জীবন, গ্রামীণ জীবন, এবং সামাজিক বাস্তবতা।
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে নাটকের জনপ্রিয়তা নির্ধারণে ভিউ, মন্তব্য এবং শেয়ারের সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রযোজকরাও ইউটিউব ট্রেন্ডিং ও ভিউ-এর দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন বিনিয়োগের আগে।
যদিও ইউটিউব ট্রেন্ডিং সবসময় নাটকের মান নির্দেশ করে না, তবুও এটি দর্শকদের পছন্দের ধরণ বুঝতে সহায়তা করে। এছাড়াও নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল হিমি অভিনীত ‘কিস্তির স্যার’, ইয়াশ রোহান ও সাদিয়া আয়মান অভিনীত ‘ফুল হাতা শার্ট’, এবং নিলয় আলমগীর ও তাসনুভা তিশা অভিনীত ‘হঠাৎ বড়লোক’ এরকম কিছু নাটকও ইউটিউবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০২৩ সালে নিলয় আলমগীর অভিনীত ১২২টি নাটক ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে এবং ৭৬৮ মিলিয়ন এর বেশি ভিউ অর্জন করেছে, যা একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। শাহেদ শাহরিয়ারও ২০২৩ সালে ইউটিউবে ৪২টি নাটকে অভিনয় করেছেন এবং ৬১ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছেন। এই তথ্যগুলো ইউটিউবকে বাংলাদেশের নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্থাপন করেছে।
আরও তথ্যের জন্য আমরা পরবর্তীতে আপডেট দিব।