খন্দকার আহাদ আহমেদের স্মরণে:
২০ মার্চ ২০২১, এক মর্মান্তিক দিন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন বিএনপির একজন অন্যতম কর্মী ও গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার আহাদ আহমেদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন এবং গবেষণাধর্মী সংস্থা ‘জি নাইন’-এর সদস্যও ছিলেন।
আহাদ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন এবং ৯০-এর দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার পিতা, খন্দকার আজিজুর রহমান ছিলেন গাইবান্ধা সদর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আহাদ আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে রেখে গেছেন তিনি। মৃত্যুর পর তার মরদেহ গাইবান্ধার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
খন্দকার আহাদ আহমেদ শুধুমাত্র একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় সমাজকর্মী ও গবেষক। তার জীবন ও কাজের মাধ্যমে তিনি অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে রয়ে গেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক জীবনে একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে।