আয়কর রিটার্ন

আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যেক টিন (টিআইএন বা ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) ধারীর জন্য বাধ্যতামূলক। এটি কেবল করযোগ্য ব্যক্তিদের জন্যই নয়, কোন উপার্জন না থাকলেও রিটার্ন জমা দিতে হয়। এর উদ্দেশ্য হলো নাগরিকদের আয়-ব্যয়ের তথ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া। করমুক্ত আয়ের মধ্যে থাকলে কোন কর না দিয়েও এই তথ্য জমা দিতে হয়, যা শূন্য বা জিরো রিটার্ন হিসেবে পরিচিত। এই প্রক্রিয়াটি এখন অনলাইনে সহজেই সম্পন্ন করা যায়।

অনলাইনে শূন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর ই-রিটার্ন প্ল্যাটফর্মে (https://etaxnbr.gov.bd/#/auth/sign-in) লগইন করতে হবে। আয়-ব্যয়, ঋণ, সম্পত্তির সমর্থনে প্রয়োজনীয় নথিপত্র রাখতে হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এক পেজ বা মাল্টিপল পেজ রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। এক পেজের ক্ষেত্রে সংক্ষেপে তথ্য দিতে হয়, আর মাল্টিপল পেজে বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়।

করযোগ্য আয় থাকলে “ইয়েস” এবং না থাকলে “নো” চিহ্নিত করতে হবে। “নো” চিহ্নিত করলে আয়ের তথ্য সংক্রান্ত অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। ‘অ্যাডিশনাল ইনফরমেশন’ পেজে রিবেট, শেয়ারহোল্ডার, আইটি১০বি (সম্পত্তি ও ঋণের জন্য) সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে। ব্যয়ের হিসাব, ট্যাক্স অ্যান্ড পেমেন্ট, রিটার্ন রিভিউ সম্পূর্ণ করে ‘প্রসিড টু অনলাইন রিটার্ন’ এবং ‘সাবমিট রিটার্ন’ এ ক্লিক করে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হয়।

ডিটেইল রিটার্নে করযোগ্য আয়ের বিস্তারিত তথ্য, রিবেট, আইটি ১০বি সাবমিট করতে হয়। সঞ্চয়পত্রের মুনাফা, কর রেয়াত (সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা), উৎসে কর, সম্পদের তথ্য প্রদান করতে হবে। ‘ফান্ড আউটফ্লো’ এবং ‘সোর্স অব ফান্ড’-এর পরিমাণের মধ্যে সমতা রাখতে হবে। চূড়ান্ত প্রদেয় কর শূন্য হলে তা উল্লেখ করে রিটার্ন জমা দিতে হবে। অনলাইনে শূন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রধান শর্ত হলো টিনধারীর মোট আয় করমুক্ত সীমার মধ্যে থাকা।

মূল তথ্যাবলী:

  • প্রত্যেক টিন ধারীকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়।
  • করমুক্ত আয় থাকলেও জিরো রিটার্ন জমা দিতে হয়।
  • অনলাইনে সহজেই শূন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায়।
  • আয়, ব্যয়, সম্পত্তি, ঋণের তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে।
  • জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ই-রিটার্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে।