আমিনুল মুন্সী

চাঁদপুরের নৃশংস জাহাজ হত্যাকাণ্ডে নিহত আমিনুল মুন্সী

গত ২৩ ডিসেম্বর, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে ‘এমভি আল-বাখেরা’ নামক একটি সারবাহী জাহাজে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন আমিনুল মুন্সী (৪১)। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার উত্তর লংকারচর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। নিহত আমিনুল মুন্সী মৃত নান্না মুন্সীর ছেলে এবং চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে জাহাজে সুকানি হিসেবে কাজ করছিলেন এবং তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন। তার স্ত্রী নাদিরা বেগমসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ২০ ডিসেম্বর, শুক্রবার তিনি বাড়ি থেকে কাজে যান এবং আর ফিরে আসেননি। তার মৃত্যুতে তার পরিবার ও গ্রামে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমিনুল মুন্সীর বড় ভাই হুমায়ুন মুন্সী এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রানা কাজীও আমিনুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মোট ৭ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে দুজন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসন নিহতদের পরিবারে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছে। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে হত্যাকাণ্ডে নিহত আমিনুল মুন্সী
  • নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার উত্তর লংকারচর গ্রামের বাসিন্দা
  • জাহাজে ১২ বছর সুকানি হিসেবে কাজ করতেন
  • পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন
  • ২০ ডিসেম্বর কাজে যান এবং আর ফিরে আসেননি

গণমাধ্যমে - আমিনুল মুন্সী

১২/২৫/২০২৪

আমিনুল মুন্সী জাহাজের সুকানি ছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।