আমান রেজা: একজন সাফল্যের গল্প
আমান রেজা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি ২০০৯ সালে ‘ভালোবাসার শেষ নেই’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জীবনে পদার্পণ করেন। এরপর থেকে তিনি অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে আলাদা স্থান করে নেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ‘চালবাজ’, ‘স্টোরি অব সামারা’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘প্রেমিক নম্বর ওয়ান’, ‘বাজারের কুলি’, ‘বস্তির ছেলে কোটিপতি’, ‘কাজের মানুষ নায়ক’ ইত্যাদি।
আমান রেজার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তিনি মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন এবং ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম থেকে এলএলবি আইন (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি দ্য ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে আইনে স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত। তার পিতা আবু নাসের একজন ব্যবসায়ী এবং মাতা জাহানারা বেগম যশোর জেলায় একজন বিচারক। তিনি তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় এবং তার দুই ছোট বোন সামিনা ও সাফিনা ওয়াহিদ।
২০০৮ সালে পল্টনের একটি স্টুডিওতে আলোকচিত্রী এলকে লিটনের সাহায্যে চলচ্চিত্র প্রযোজক গোলাম মোর্শেদের সাথে পরিচিত হন। এই পরিচয়ের ফলেই তিনি হাফিজ উদ্দিন পরিচালিত ‘সেই তুফান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার শেষ নেই’, যা রেজা লতিফ পরিচালিত, তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র।
২০১৩ সালে তিনি জাকির খান, ফারুক হোসেন, এমএ রহিম, মিনহাজ কিবরিয়া, আহমেদ আলী মন্ডল, মনসুর আলী, জি সরকার, আনোয়ার সিরাজ ও রিকিয়া মাসুদের মতো বিখ্যাত পরিচালকদের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এ বছরেই তিনি প্রায় ২৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ গায়ক রুবায়েত জাহান ও রাজা কাশেফের সাথে একটি গানচিত্রেও কাজ করেন।
২০১১ সালে মলি রেজা নামে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে তিনি মাহাসিন রেজা আলীজা নামে এক কন্যা সন্তানের পিতা হন।
আমান রেজা অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসায়েও যুক্ত। তিনি মালয়েশিয়ায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। আমান রেজা একজন ব্যস্ত ও প্রতিভাবান ব্যক্তি, যিনি নিজেকে চলচ্চিত্র ও আইনের দুই ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন।