আব্বাস আলী

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:৫৮ পিএম

দুই আব্বাস আলী: একজন আলেম, অন্যজন রাজনীতিবিদ

বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘আব্বাস আলী’ নামটি দুটি ব্যক্তির সাথে জড়িত। একজন বিশিষ্ট ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও পণ্ডিত, অন্যজন রাজনীতিবিদ। প্রথম আব্বাস আলী ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম, কুরআনের অনুবাদক এবং বহু গ্রন্থের রচয়িতা। দ্বিতীয় আব্বাস আলী খান ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

প্রথম আব্বাস আলী (ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব):

এই আব্বাস আলী ছিলেন বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের বাংলা ভাষায় কুরআন, হাদিস এবং ইসলামী জ্ঞানের প্রচার-প্রসারে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী একজন বিশিষ্ট আলেম। তিনি ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে (বাংলা ১২৬৬ সনে) বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার চন্ডিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল তমীযুদ্দীন এবং চাচার নাম মাওলানা মুনীরুদ্দীন। চন্ডিপুর গ্রামীণ পাঠশালায় বাল্যশিক্ষা লাভের পর তিনি বিভিন্ন মাদরাসায় শিক্ষা অর্জন করেন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহের টাঙ্গাইল মহকুমার দেলদুয়ারের একটি মাদরাসায় মাওলানা আব্দুর রহমান কান্দাহারীর কাছে আরবি সাহিত্য, তাফসীর ও হাদিস শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তার শিক্ষাজীবন প্রায় ১৫ বছর ধরে চলে। বাংলা ভাষায় কুরআনের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করার কারনে তিনি বিখ্যাত। তিনি ১৯৩২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

দ্বিতীয় আব্বাস আলী খান (রাজনীতিবিদ):

এই আব্বাস আলী খান ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। তার জন্ম ১৯১৪ সালে জয়পুরহাটে। আফগানিস্তান থেকে আগত পাঠান বংশোদ্ভূত তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের উদ্যোগে গঠিত প্রাদেশিক সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তাকে দালাল আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তাকে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষমা প্রাপ্ত হন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৯ সালে মারা যান।

উভয় আব্বাস আলীর জীবনী ও অবদান সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • প্রথম আব্বাস আলী: কুরআনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদক ও বিশিষ্ট আলেম
  • দ্বিতীয় আব্বাস আলী খান: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সমর্থক রাজনীতিবিদ
  • প্রথম আব্বাস আলী: ১৮৫৯ সালে জন্ম, ১৯৩২ সালে মৃত্যু
  • দ্বিতীয় আব্বাস আলী খান: ১৯১৪ সালে জন্ম, ১৯৯৯ সালে মৃত্যু
  • প্রথম আব্বাস আলী: কুরআন, হাদিস ও ইসলামী জ্ঞানের প্রচারে অবদান
  • দ্বিতীয় আব্বাস আলী খান: জাতীয় পরিষদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আব্বাস আলী

আব্বাস আলী উলিপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ ছিলেন, তিনি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলেছেন।

আব্বাস আলী, মিজানুর রহমান, আলতাফর হোসেন এবং নুর হাবিব মাহফিলের আয়োজক ছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।