আব্দুল মালেক খান

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২:৪৬ পিএম

আব্দুল মালেক খান নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, দুইজন আব্দুল মালেক খান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রথম আব্দুল মালেক খান:

এই ব্যক্তি হাদিস বিশেষজ্ঞ, হানাফী ফকিহ এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব। ১৯৬৯ সালের ২৯ আগস্ট কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার সারাশপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি আব্দুর রশীদ নোমানী, তাকি উসমানী এবং আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ’র কাছে হাদিস এবং ফিকহ শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে তার রচিত ‘আল মাদখাল ইলা উলুমিল হাদিসিশ শরিফ’ বিভিন্ন দেশে পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের সদস্যও ছিলেন।

দ্বিতীয় আব্দুল মালেক খান:

এই ব্যক্তি ১৯৬৯ সালে ইসলামী শিক্ষার পক্ষে কথা বলতে গিয়ে ঢাকায় ইসলাম বিদ্বেষী সেকুলার পন্থীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণ করেন। ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রপথিক ছিলেন। তার শাহাদাতের প্রেক্ষাপটে ১৯৬৯ সালের ২ আগস্ট ‘National Institute of Public Administration’ (NIPA) একটি আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করে ইসলামী শিক্ষার পক্ষে তার বক্তব্য বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সকল যুক্তিকে হার মানিয়েছিল। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে ডাকসু কর্তৃক ১২ আগস্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়ার ঘটনায় সেকুলারপন্থীদের হামলার শিকার হন।

যদি আপনার আব্দুল মালেক খান সম্পর্কে আরো নির্দিষ্ট তথ্য থাকে তবে আমরা আরও বিস্তারিত লেখা তৈরি করতে পারব।

মূল তথ্যাবলী:

  • বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন
  • হাদিস ও ফিকহ বিশেষজ্ঞ
  • মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার সাথে সম্পৃক্ততা
  • ১৯৯৮ সালে ‘আল মাদখাল ইলা উলুমিল হাদিসিশ শরিফ’ গ্রন্থ রচনা
  • ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রণী নেতা হিসেবে শাহাদাৎ বরণ (১৯৬৯)

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।