আব্দুল কাইয়ুম নামটি একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য থেকে আমরা কয়েকজন আব্দুল কাইয়ুম সম্পর্কে জানতে পারি:
১. আব্দুল কাইয়ুম (পুলিশ কর্মকর্তা): ২৮ মার্চ ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশের জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার পাখিমারা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এই আব্দুল কাইয়ুম বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ছিলেন। ৭ মে ২০০৫ থেকে ৬ জুলাই ২০০৬ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা এবং চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাও ছিলেন। তিনি জামালপুর জেলা স্কুল ও জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
২. আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী (ভাষাবিদ): ১৯১৫-১৯৮৩ সালে জীবিত এই আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভাষাচিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, গ্রন্থাগারিক এবং লেখক। সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকানি গ্রামে তার জন্ম। তিনি বাংলা লিপি ও বানান সরলীকরণের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং 'বাংলা পয়লা বই' গ্রন্থের রচয়িতা। তিনি ৩৪টি বর্ণ দিয়ে বাংলা বর্ণমালা সংস্কারের প্রস্তাব রেখেছিলেন।
৩. আব্দুল কাইয়ুম (ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম): ১ মার্চ ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণকারী এই আব্দুল কাইয়ুম একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী পণ্ডিত এবং ইস্ট লন্ডন মসজিদের প্রধান ইমাম। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রভাষক এবং পিস টিভি বাংলা ও চ্যানেল নাইনে ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা ও রিয়াদে ইসলামী শিক্ষা লাভ করেন।
৪. মীর আব্দুল কাইয়ুম: একজন বাংলাদেশী মনোবিজ্ঞানী ছিলেন যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। ১৯৩৯ সালের ৬ জুলাই ময়মনসিংহের গাফরগাঁও, ঘাগড়ায় তার জন্ম।
৫. এম. আব্দুল কাইয়ুম: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মানবাধিকারকর্মী।
উল্লেখযোগ্য যে, এই তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল কাইয়ুম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্তির পর এই লেখা আপডেট করা হবে।