আবুল বাশার নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই বিভ্রান্তি এড়াতে তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করা প্রয়োজন। প্রদত্ত তথ্য থেকে দুইজন আবুল বাশারের কথা বলা যায়:
প্রথম আবুল বাশার: একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন। তিনি গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জেড ফোর্সের অধীনে যুদ্ধ করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাটের গৌরীপুরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে গুরুতর আহত হন এবং পরে মারা যান। তার সাহসিকতা এবং ত্যাগের গল্প মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।
দ্বিতীয় আবুল বাশার: একজন প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও বামপন্থী রাজনীতিক, যিনি ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর মারা যান। লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে জন্মগ্রহণ করলেও, তিনি চট্টগ্রামের ইস্পাহানি জুট মিলে টেকনিক্যাল শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৭ সাল থেকে শ্রমিক নেতা হিসেবে কাজ করে ১৯৭৩ সালে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতিও হন। শ্রমিক অধিকার আদায়, বামপন্থী আন্দোলনের ঐক্য, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তিনি সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
উভয় আবুল বাশারই তাদের যুগের অসামান্য ব্যক্তিত্ব এবং তাদের অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাদের বর্ণনা একে অপরের সাথে মিশে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।