আবু রাকিয়া

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:০৮ এএম

ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া মজুমদার: একজন অনন্য সালাফী পণ্ডিত

ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া মজুমদার একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী সালাফী ইসলামী পণ্ডিত, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, অধ্যাপক, লেখক, দাঈ এবং ইসলামী বক্তা। ১৯৬৯ সালে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধনুসারা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী তিনি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা থেকে কামিল (হাদীস) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। পরবর্তীতে তিনি মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাষ্টার্স, এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার পড়াশোনা শেষ করে তিনি ২০০৫ সাল থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে যোগদান করেন এবং বর্তমানে অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এনটিভি, পিস টিভি, এবং অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলে ইসলামী অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল এবং বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলেও তিনি আলোচনা করেন। তিনি নিয়মিত পত্র-পত্রিকায়ও লেখালিখি করে থাকেন।

ড. যাকারিয়ার বাংলা ভাষায় রচিত কুরআনের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর 'তাফসীরে যাকারিয়া' সৌদি আরবের কিং ফাহাদ প্রিন্টিং প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তার 'হিন্দুসিয়াত ওয়া তাসুর' এবং 'শিরক ফিল কাদিম ওয়াল হাদিস' গ্রন্থ দুটি আরব বিশ্বে ব্যাপক সমাদৃত। এছাড়াও, তার বেশ কিছু গ্রন্থ বাংলাদেশের সরকারি উচ্চশিক্ষা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে 'আবু বকর সিদ্দিক কমপ্লেক্স' নামে একটি নির্মাণাধীন বহুমুখী ইসলামী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকও।

ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়ার জীবন ও কর্মকাণ্ড ইসলামের প্রচার-প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তার গ্রন্থ ও বক্তৃতা ইসলামী জ্ঞানের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আরও তথ্য পাওয়ার জন্য তাঁর লেখা ও ভিডিও সমূহ অনুসন্ধান করা যেতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৬৯ সালে কুমিল্লায় জন্ম
  • মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা থেকে কামিল
  • মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ায় অধ্যাপক
  • 'তাফসীরে যাকারিয়া' প্রকাশ
  • আরব বিশ্বে জনপ্রিয় গ্রন্থ রচনা
  • আবু বকর সিদ্দিক কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আবু রাকিয়া

জানুয়ারী ৫, ২০২৫

আবু রাকিয়া ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাহেল শাখার শীর্ষস্থানীয় নেতা বলে মালির সেনাবাহিনী দাবি করেছে।