আবু বকর ছিদ্দিক

আবু বকর ছিদ্দিক: একজন গুণী রাজনীতিবিদের জীবনী

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার রাজনীতিতে আবু বকর ছিদ্দিকের নাম স্মরণীয়। তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার রাজনৈতিক জীবন ছিল বহুমুখী ও গতিশীল।

কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণকারী আবু বকর ছিদ্দিকের প্রাথমিক রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়। তিনি ভৈরব থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর, তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৪ এবং ১৯৮৪ সালে তিনি ভৈরব পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, যা তার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের পরিচয় দেয়।

১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে অংশগ্রহণ করলেও তিনি পরাজিত হন। তবে পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে তিনি আবারও রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্থানের সুযোগ পান। এবং ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি কিশোরগঞ্জ-৭ আসন থেকে বিজয়ী হন।

আবু বকর ছিদ্দিকের রাজনৈতিক জীবন শুধুমাত্র নির্বাচনী রাজনীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে গেছেন এবং তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছেন। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অবদান কিশোরগঞ্জের মানুষের কাছে স্মরণীয় থাকবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • আবু বকর ছিদ্দিক ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৭ আসনের সংসদ সদস্য।
  • তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভৈরব থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
  • তিনি দুইবার ভৈরব পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
  • ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

গণমাধ্যমে - আবু বকর ছিদ্দিক

আবু বকর ছিদ্দিকের স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তাদের সন্তানের মৃত্যু হয়।

আবু বকর ছিদ্দিকের স্ত্রীর প্রসবের সময় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে তাদের নবজাতক সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।