বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান: একজন সাহসী ও মেধাবী ব্যক্তিত্ব
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানের নাম স্মরণীয় হয়ে আছে। তিনি ছিলেন একজন সাহসী ও মেধাবী বিচারপতি, যিনি নিজের পেশাগত জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ১৯৬৫ সালে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ১৯৬৬ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা জেলা জজ আদালতে আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৭৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন এবং ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হন।
তার বিচারকালীন কর্মজীবনে, বিচারপতি রহমান বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ২০০৭ সালের অক্টোবরে তিনি এবং বিচারপতি যুবায়ের রহমান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ জারি করেন। ২০০৭ সালের নভেম্বরে, তিনি এবং বিচারপতি যুবায়ের রহমান চৌধুরী দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পদের বিবরণী চাওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে, তিনি এবং বিচারপতি শহীদুল ইসলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কেন স্থগিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেওয়া হবে তা জানতে চেয়ে আদেশ জারি করেন।
বিচারপতি রহমান ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার জন্য পরবর্তী সারিতে ছিলেন। তাকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ না দিয়ে বাংলাদেশ সরকার মোজাম্মেল হোসেনকে নিয়োগ দেয়। পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হওয়ার পর তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে পদত্যাগ করেন।
তার পেশাগত জীবনের পাশাপাশি, তিনি একজন সুন্দর পরিবারের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ হান্নান শাহের ছোট ভাই।